সময় কলকাতাঃ রোগীকে পরিষেবার নামে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসুতির আত্মীয়দের। মাতৃত্বের স্নেহে নতুন আলো দেখবে সদ্য জাত এই স্বপ্ন নিয়ে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের নাম করণ হয়েছিল মাতৃমা।আর প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ব্যবস্থা উৎসাহিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্যের নানান প্রকল্প রয়েছে। গর্ভ ধারনের পর থেকে পাড়ায় পাড়ায় স্বাস্থ্য কর্মীদের তত্বাবধান ও নজরদারিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের জন্য আসে প্রসূতি।রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের সাধারণত আসেন গরীব ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। এই ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স করে প্রস্তুতিকে নিয়ে আসা ও প্রসবের পর প্রসূতিকে বাড়ি পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়।
জলপাইগুড়ি হাসপাতালে সরকারের এই আন্তরিক চেস্টাকে ব্যর্থ করার অভিযোগ এক শ্রেনীর কর্মীর বিরুদ্ধে । প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, এই হাসপাতালের লিফ্টম্যান,ওয়ার্ডের সাফাই কর্মী ও ট্রলিম্যানের বিরুদ্ধে। রাতে এই তিন শ্রেণির কর্মীর অর্থ লিপ্সার প্রতিবাদে সোচ্চার হন প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা।তাঁদের অভিযোগ সিজার ওপারেশন বা স্বাভাবিক প্রসব যাই হোক না কেন প্রসূতি হাসপাতালের লেবার রুম থেকে বেডে নিয়ে যেতে চার শো থেকে পাঁচ শো টাকা দিতেই হয়। টাকা না দিলে পরিষেবা দেওয়া হয়না। নিরুপায় হয়ে রোগীর পরিবারের লোকেরা ওই টাকা দিতে বাধ্য হন।হাসপাতাল কর্মীদের দৌরাত্বে কার্যত অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি রোগীর আত্মীয় জানান, তাঁর স্ত্রীর প্রসবের পর লেবার রুম থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে আসতে ট্রলি ম্যান, লিফট ম্যান ও সাফাই কর্মীদের ৭০০ টাকা দিতে হয়েছে।হাসপাতাল কর্মীদের এই তোলাবাজির প্রতিবাদে তিনি কোতওয়ালি থানা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
More Stories
নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে, নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের
দাড়ি গোঁফ কাটিয়েও শেষরক্ষা হল না, ডোমকলে পুলিশের উপর হামলায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত
মালদহের তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার শার্প শ্যুটার , মালদহকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা ৮