সময় কলকাতা ডেস্কঃ ২০১০ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী। শিলদার ই এফ আর ক্যাম্পে হানা দেয় মাওবাদীরা। মাওবাদী হামলায় ২৪ জন জওয়ান শহীদ হন। মাও নেতা কিষেণজীর নিখুঁত পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করে মাওবাদী দলের মহিলা সদস্যা জাগরী বাস্কে। এমনটাই অভিযোগ ছিল এই মামলার তদন্তকারী দলের।ভালোবাসা দিবসের পরের দিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে সামিল হয়ে রাতের হামলায় জাগরী বাস্কে ও তার বাহিনী জঙ্গল মহলে শেষ করে দিয়ে ছিল শুধু জওয়ানদেরকেই নয়।বরং রাষ্ট্রের স্বাভিমানেও ছিল সে এক বড়সড় আঘাত। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মাও পথ থেকে সরে আসে বেলপাহাড়ির এই আদিবাসিন্দা। আজন্ম বঞ্চনার শিকারই তাঁদের মাওবাদের মত ধ্বংসাত্মক পথকে বেছে নিতে বাধ্য করে ছিল বলে পরবর্তী কালে সরকারকে জানিয়ে ছিল বাস্কে দম্পতি। শিলদার ই এফ আর ক্যাম্পে মাও হামলার কয়েক বছর পরে রাজ্য পুলিসের কাছে আত্ম সমর্পন করে ছিল তারা।পরবর্তী কালে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার জন্য রাজ্যের মুখমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করে তারা। এরপর রাজ্যের সহযোগিতায় পূনর্বাসন হয় এই শিলদার ই এফ আর ক্যাম্পে হামলার প্রধান অভিযুক্তের।জাগরীরা মাও পথ ত্যাগ করলেও,মাওবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে জঙ্গল মহলে। শিলদার ই এফ আর ক্যাম্পের হামলার বর্ষপূর্তির দিন আবার জঙ্গল মহলে মিলল মাওবাদী পোষ্টার। হুমকি দিয়ে ছাপানো মাওবাদী পোষ্টার পাওয়া যায় এদিন জঙ্গল মহলে।মাওবাদীরা ফের কি সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গল মহলে এই প্রশ্নকে অস্বীকার না করে,বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছেন বলে জানালেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিং।একই সঙ্গে মাওবাদীদের নাম করে টাকা তোলার অভিযোগে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ২ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান এডিজি পশ্চিমাঞ্চল। তিনি বলেন ধৃতরা মাওবাদীদের নাম করে টাকা তুলছিল। সনু নায়েক, সিন্টু পাত্র নামে দুজনকে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবী এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিং-এর। তিনি শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় শহিদদের স্মরন দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার ডিআইজি সুনীল চৌধুরী ও জেলা শাসক জয়শি দাসগুপ্ত, এসপি সহ বাকি আধিকারিকরা।১২বছর পুরোনো সেই স্মৃতিকে আবার অনেকটাই তাজা করে দিল এদিনের মাওবাদীদের এই পোষ্টার।শিলদার ই এফ আর ক্যাম্পে মাও হামলায় নিহত জাওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানো হয় এইদিন গান স্যালুটের মাধ্যমে।একই সঙ্গে এইদিন জঙ্গল মহলে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে শাড়ি, কম্বল তুলে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আয়োজন করা হয়ে ছিল প্রীতি ভলিবল ম্যাচ। সেই খেলায় বাহিনীর জওয়ানরা অংশ নেয়।নতুন করে মাওবাদী গতিবিধি বাড়ায় আতঙ্কিত জঙ্গল মহলবাসী।
More Stories
BANSDRONI: বাঁশদ্রোণীর পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত গাড়ির চালক ও মালিক
RG Kar Incident: মহালয়ার দিন অভয়ার বাড়িতে সিবিআই, কেন?
Banshdroni Accident: মহালয়ায় মহানগরীতে পথ দুর্ঘটনা বাঁশদ্রোণীতে জেসিবির চাকায় পিষ্ট ছাত্র