Home » প্রায় দুবছর পর স্কুলমুখী কচিকাঁচারা

প্রায় দুবছর পর স্কুলমুখী কচিকাঁচারা

সময় কলকাতা ডেস্ক: করোনার ধাক্কায় প্রায় দু বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল পঠনপাঠন। মাঝে কিছুদিনের জন্য অষ্টম থেকে কলেজ স্তরের ক্লাস হলেও স্কুলমুখী হয়নি কচিকাঁচারা।রাজ্যে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হওযার পর ধীরে্ ধীরে ছন্দে ফিরছে সবকিছু।সেখানে ব্যতিক্রম নয় শিক্ষা ব্যবস্থাও। তাই তারই অঙ্গ হিসাবে বুধবার থেকে খুলেছে কচিকাঁচাদের স্কুল।প্রায় দুবছর বাদে এদিন সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে খুলেছে প্রাথমিক স্কুলের দরজা। প্রায় দুবছর স্কুল বন্ধ থাকায় কার্টত পোড়ো বাড়ির আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু সাফসুতরো হয়ে এদিন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি ভরে উঠেছে কচিকাঁচাদের কলরবে। দীর্ঘদিন পর স্কুলে ফিরতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা।

প্রসঙ্গত, করোনার দাপট কিছুটা কমতেই স্কুল খোলার দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষক সংগঠন ও পড়ুয়ারাও আন্দোলনে নামেন।একাধিক জেলায় আন্দোলনের পর প্রথমদফায় অষ্টম শ্রেণি থেকে কলেজ স্তরের ক্লাস শুরু হয়।তারপর থেকেই প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রণি পর্যন্ত স্কুল খোলার দাবি আরও জোরালো হচ্ছিল।অবশেষে বুধবার থেকে রাজ্যের কচিকাঁচাদের স্কুল খোলার নির্দেশ দেয় সরকার। তার পরিপ্রক্ষিতেই এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে শুরু হয়েছে পঠনপাঠনের কাজ।দীর্ঘদিনের ঘরবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তিরপর খুশি পড়ুয়ারা।

দীর্ঘদিনের বন্দীদশা কাটিয়ে ছেলেমেয়েরা স্কুলে ফেরায় খুশি অভিভাবকরাও। তাঁরা জানান, করোনার সময় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মানসিকভাবে দোটানায় পড়েছিল। স্কুল খোলায় শিশুদের সেই একাকিত্বভাব কাটবে।

প্রায় দুবছর বাদে আগেরমতোই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে খুশি শিক্ষিকারাও।প্রথমদিনে স্কুলে আসা পড়ুয়াদের কোথাও চকলেট আবার কোথাও খেলনা দিয়ে উৎসাহিত করা হয়।পাশাপাশি প্রাথমিক থেকে সমস্ত পড়ুয়ার দ্রুত টিকাকরণের ব্যবস্থা করার জন্য তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।শিক্ষিকারা জানান, পড়ুয়াদের মতো তাঁরাও স্কুলে ফিরতে পেরে কার্যত হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন।

 

 

About Post Author