সময় কলকাতা ডেস্ক: ১৩ বছর আগে আমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় নজিরবিহীন রায় আমেদাবাদ আদালতের। বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩৮ জনকে ফাঁসি ও আরও ১১জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার আমেদাবাদের বিশেষ আদালতের দেওয়া এই রায় দেশে একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজার সর্বকালীন রেকর্ড।আদালতের এই রায় প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ জুলাই ১৯টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আমেদাবাদ শহর। বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৫৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।নিহত ৫৬ জনের মধ্যে আমদাবাদের সিভিল হাসপাতালের বিস্ফোরণেই প্রাণ যায় ৩৭ জনের। লাগাতার বিস্ফোরণের ঘটনার পর তদন্তে নামে গুজরাট পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমদাবাদ এবং সুরাটে ৩৫টি ভিন্ন মামলা নথিভুক্ত করা হয়। বোমা বিস্ফোরণের জন্য আমদাবাদে মোট ২০টি এবং সুরাটে মোট ১৫টি মামলা দায়ের করা হয়। বিস্ফোরণের কয়েক দিন পরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২৯টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়।ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম) এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার প্রতিশোধ নিতেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে এই জঙ্গি সংগঠন দাবি করে।
প্রাথমিক ভাবে এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশেষ আদালতে চলে শুনানি পর্ব। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করার অভিযোগের পাশাপাশি ইউএপিএ ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়।২০১৩ সালে কয়েকজন অভিযুক্ত জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে। জেল চত্বরে মাটির তলায় ২১৩ ফুট গভীর গর্ত করে পালানোর ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। হলিউডি সিনেমাকেও টেক্কা দেওয়া সে পরিকল্পনা পুলিশি তৎপরতায় ভেস্তে যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা শুনানি পর্বে সব মিলিয়ে ১ হাজার ১০০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২৬ জন ছিল রাজসাক্ষী। ৮ ফেব্রুয়ারি ৭৭ জনের মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।বাকি ২৮ জনকে বেকসুর খালাস করে আদালত।
More Stories
ট্রেনে মাত্র ৩০ মিনিটেই দিল্লি থেকে জয়পুর! কি করে!
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান পিএসআর অঞ্জনেউলু কাদম্বরী জেঠওয়ানি মামলায় গ্রেফতার
কর্ণাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজি খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী পল্লবী