সময় কলকাতা ডেস্ক: সাম্প্রতিককালে আইলা, আমফান বা ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলি বুঝিয়ে দিয়েছিল উপকূলবর্তী এলাকায় ম্যানগ্রোভ কিভাবে আমাদের আশীর্বাদ হিসাবে কাজ করে। তাই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি আগামী দু বছরের মধ্যে নতুন করে কয়েক কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি সেই নির্দশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অবাধে ম্যানগ্রোভের ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছেন। এছবি নামখানার সুন্দরীকা নদীর চরে ম্যানগ্রোভ ধ্বংসলীলার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনবাসীকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে নামখানার লালপুর, চন্দননগর, চন্দন পিড়ি এলাকার সুন্দরীকা ও দোয়ানিয়া নদীর চরে চলছে ম্যানগ্রোভ কেটে মাছের ভেড়ি তৈরির কাজ। বিঘার পর বিঘা জায়গার ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি হচ্ছে মাছের ভেড়ি।এলাকাবাসীর অভিয়োগ, প্রভাবশালী কিছু ব্যাক্তির মদতেই দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে ম্যানগ্রোভ কেটে সাফ করার কাজ। তারপর সেই জায়গায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ মাছের ভেড়ি। য সমস্ত জায়গায় এই ভেড়িগুলি তৈরি হচ্ছে তার অধিকাংশ জায়গার মালিকানা রয়েছে সেচ দপ্তর বা জেলা প্রশাসনের হাতে।
তাই প্রভাবশালীদের যোগসাজসের পাশাপাশি প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই কাজের সঙ্গে যে বা যাঁরা যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওযার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
More Stories
Durga Puja: পুজো শুরু ষষ্ঠী থেকে, তবে বিশেষ কেন পঞ্চমী?
পুজোর আগেই রক্তাক্ত বীরভূম, কয়লাখনির বিস্ফোরণে মৃত ৭
গোপনে আপত্তিকর ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে