Home » বাইক আটকানোয় সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূল কর্মীদের,গ্রেপ্তার ৩

বাইক আটকানোয় সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূল কর্মীদের,গ্রেপ্তার ৩

সময় কলকাতা ডেস্ক: বাইক ধরা নিয়ে তিন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ল এক সিভিক ভলান্টিয়ার। পাল্টা সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে বাইক ছাড়ার বিনিময়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের।এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পাশাপাশি তিন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড়ে প্রতিদিনের মতোই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা হেলমেট বিহীন যাত্রীদের গাড়ি ধরছিল। ওই সময়ে মাসুদ আলম, মোহাম্মদ আলী ও নাজিমুল নামে তিন তৃণমূল কর্মী বাইক নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। মাথায় হেলমেট না থাকায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার রাকেশ পাশওয়ান ওই তিনজন বাইক আরোহীর থামায়।পরে গাড়িগুলি আটক করে। এরপরই ওই ৩ বাইক আরোহী ওই সিভিকভলান্টিয়ারকে গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়। অভিযোগ, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার , গাড়ি ছাড়তে গেলে ২০০০ টাকা দিতে হবে দাবি করে। তিন তৃণমূল কর্মী সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে প্রথমে বচসা তারপর ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে । খবর পেয়ে  হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়।পুলিশের দাবি, ওই তিন বাইক আরোহী হেলমেট বিহীন ছিলেন এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাই জন্যই তাদের ধরা হয়।

তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতিতে জড়িয়ে যাওয়া নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা তলানীতে। তাই শাসকদলের সর্মথকরা এখন পুলিশ পেটাচ্ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অন্যদিকে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তৃণমূল কর্মী হলেও অন্যায় করে ছাড় পাবে না।

About Post Author