Home » তালিবানি নৃশংসতা ! চোর সন্দেহে পরিচারিকার শরীরে গরম সূচ ফুটিয়ে শাস্তি !

তালিবানি নৃশংসতা ! চোর সন্দেহে পরিচারিকার শরীরে গরম সূচ ফুটিয়ে শাস্তি !

সময় কলকাতা ডেস্কঃ  অমানবিকতার সীমা ছাড়িয়ে মানুষ কতো দূর যেতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বাড়ির পরিচারিকাকে চোর সন্দেহে বাড়িতে ডেকে গণগণে সূচ শরীর ফুটিয়ে দেওয়া সর্বোপরি লোহার রড দিয়ে এলো পাথারি মারধোর করা। তাও আবার এই অমানবিকতার সীমা ছাড়ালেন কে? পেশায় একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অন্তর্গত বোয়ালমারি গ্রাম  পঞ্চায়েতের নতুনবস্তি এলাকায়।   পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলঘাট এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশের বাড়িতে গত ১০ বছর ধরে পরিচারিকার কাজ করতেন ওই মহিলা। অভিযোগ,গত বুধবার ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি থেকে বহুমূল্যের একটি সোনার আংটি খোয়া যায়। তারপর থেকেই পরিচারিকাকে সন্দেহ করেন পুলিশকর্মীর পরিবার।

 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রাক্তন পুলিশকর্মীর স্ত্রী পরিচারিকাকে বাড়িতে ডেকে সূচ গরম করে তার শরীর ফুটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরও ওই পরিচা্রিকাকে লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধোরও করেন পুলিশকর্মীর স্ত্রী ।ফলে তার শরীরের বেশ কিছু জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ওইদিন তাকে সারারাত আটকে রাখা হয়।

পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার তাকে আবারও মারধোর করা হয়।এরপর ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা খবর পেয়ে পুলিশকর্মীর বাড়িতে যান। তারপর পরিচারিকাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।  ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার হলেও রবিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। শুক্রবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং সে জ্ঞান হারালে তড়িঘড়ি তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।এরপর অভিযুক্ত দম্পতির কঠোর শাস্তির দাবিতে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জমা দেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার। এমন অমানবিক ঘটনা প্রতিবেশীরা আগে কখনো দেখেননি বলে জানায়। প্রগতিশীল সমাজে মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখে তাদের চক্ষু চড়কগাছ। তারা প্রত্যেকেই মনে করেন এই বর্বরতার সঙ্গে অনেকটাই মিল খুঁজে রয়েছে তালিবানি নৃশংসতার।

 

 

About Post Author