Home » আনিশ হত্যা কাণ্ডে নতুন মোড়, কোন দুষ্কৃতী নয় বরং পুলিশই গিয়েছিল আনিশের বাড়িতে

আনিশ হত্যা কাণ্ডে নতুন মোড়, কোন দুষ্কৃতী নয় বরং পুলিশই গিয়েছিল আনিশের বাড়িতে

সময় কলকাতা ডেস্ক : আনিশ হত্যা মামলায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট বলছে, ঘটনারদিন রাতে কোনো দুষ্কৃতী নয় বরং পুলিশই গিয়েছিল আনিশের বাড়িতে।

পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে যে দাবি করা হয়েছে সেই কথা আনিশের বাবা সেলিম খান আগেই জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে আমতা এবং বাগনান থানার পুলিশ কর্মীদের, এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর।  

সেদিন রাতের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী এই দুই থানার কোন কোন আধিকারিক ওই দিন আনিশের বাড়িতে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাই এই হত্যাকাণ্ডের জট কাটাতে এই মোবাইল লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, বিশেষ তদন্তকারী টিম বা সিট সোমবার রাতে আমতা থানায় এসে আমতা থানার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। বাগনান থানার পুলিশ আধিকারিকদেরকেও পরবর্তীকালে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হতে পারে। আনিসের পরিবারের দাবী, যে তার ছেলেকে পুলিশের কর্মীরাই খুন করেছে। তাদের বাড়িতে এসে সেই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিচ্ছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট। এই রিপোর্ট আসার পরেই জেলা পুলিশের তরফ থেকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তিন পুলিশকর্মীকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করার নোটিশ জারি করেছে জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায়। স্বাভাবিকভাবেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের নাম জড়ানোয় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। যদিও আনিশের বাবা এখনো পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের উপরেই ভরসা রাখছেন বলেই জানিয়েছেন। ঘটনায় তিন পুলিশকর্মীর সাসপেন্ড হওয়ার খবরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, তার বাড়িতে চারজন পুলিসকর্মীর উপস্থিতিতে তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে আর থানায় বসে গোপনে মুখে মুখে কিভাবে পুলিশকে সাসপেন্ড করে দিলো? তাই তার দাবি তার ছেলের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দেওয়া হোক। রাজ্য পুলিশের উপর কোন ভরসা বিশ্বাস তার নেই। যদিও গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে নারাজ জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর বলছে, এরপরে হয়ত সিটের নেতৃত্বে যে তদন্ত চলছে সেই তদন্তের অন্যতম অংশ হিসাবে পুলিশ কর্মীদের মোবাইলের লোকেশন চিহ্নিত করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তদন্তের স্বার্থে। মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন ট্র্যাক করার পর জানা যাবে ওই দিন রাত্রে বাড়িতে যে চারজন পৌঁছেছিলেন তারা আমতা থানা নাকি বাগনান থানার পুলিশ কর্মী। তারপর আনিসের বাবা সালেম খানকে দিয়ে টি আই প্যারেডের ব্যবস্থা করবে জেলা পুলিশ। সেক্ষেত্রে এই খুনের মামলার রহস্যের জট খোলার সহজ হবে বলে মনে করছে তদন্তকারী দল।

About Post Author