Home » রামপুরহাটে তৃণমূলের প্রচার তুঙ্গে, প্রচারে সাংসদ, ডেপুটি স্পীকার

রামপুরহাটে তৃণমূলের প্রচার তুঙ্গে, প্রচারে সাংসদ, ডেপুটি স্পীকার

সময় কলকাতা, অমলেন্দু মন্ডল: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি! আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন। হাতে আর মাত্র তিনদিন প্রচারের সময়। আর সেই কারণেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করছে না রামপুরহাট পুরসভার তৃণমূল প্রার্থী কর্মী সমর্থকরা।

নিয়ম করে প্রতিদিন রামপুরহাট বিধায়ক, জেলা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান, তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পীকার ডঃ আশিষ বন্দোপাধ্যায়, সারাদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়ম করে প্রচার করছেন। রামপুরহাট পুরসভার মোট ১৮ টি ওয়ার্ড, ইতিমধ্যেই ৫ টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় লাভ করেছে তৃণমূল। নির্বাচন হবে ১৩ টি ওয়ার্ডে, প্রচারে বিরোধীরা তেমন সাড়া না ফেলতে পারলেও তৃণমূল প্রচারে এগিয়ে। প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচার করছেন বিধায়ক আশীস বন্দোপাধ্যায়, জেলা আই এন টি ইউ সি সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের মেন্টর, লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ থেকে মন্ত্রী চন্দনাথ সিনহা, প্রচারে বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায় সকলেই সারদিন রামপুরহাটের প্রচার সারেন।

রামপুরহাট ১৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শুদ্ধোধন ব্যানার্জ্জীর সমর্থনে বুধবার পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, আই এন টি ইউ সি সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, টাউন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রেকিব, সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতা কর্মীরা।

সুষ্ঠভাবে নির্বাচনের দাবীতে কয়েকদিন আগেই জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে ধর্না মঞ্চ করে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এ প্রসঙ্গে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে ডেপুটি স্পীকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলো সুষ্ঠভাবে মনোনয়ন করতে পারলেন, প্রচার করছেন প্রতিটি ওয়ার্ডে কোথাও কোন বাধা পাচ্ছেন না, অথচ তারা বলছেন সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হোক, তাদের পাশে সাধারণ মানুষ নেই, সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেন নি কোন দলই, নিজেদের পায়ের তলায় মাটি নেই তাই উল্টোপাল্টা বলছে।’

বিরোধীদের অভিযোগ, জোড় করে অনেক প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছে। বিরোধীদের এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে জেলা আই এন টি ইউ সি সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য জানান, ‘বিরোধীদের এই বক্তব্য সবৈব মিথ্যা কারণ মনোনয়ন প্রত্যাহার জোড় করে করলে ১৮টি ওয়ার্ডের প্রার্থীকে প্রত্যাহার করানো হত, কিন্তু বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিরোধীদের প্রার্থী রয়েছে। তারা প্রার্থী পাননি সেখানে তারা এই অভিযোগ করছে।’

About Post Author