Home » “সিবিআই তদন্ত থেকে সরে আসুন না হলে——— ,”ফোনে হুমকি, দাবি আনিশের দাদা সাবির খানের

“সিবিআই তদন্ত থেকে সরে আসুন না হলে——— ,”ফোনে হুমকি, দাবি আনিশের দাদা সাবির খানের

সময় কলকাতা ডেস্কঃ ছাত্র নেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গত কয়েকদিন ধরে চলেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি সিট। ইতিমধ্যেই দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু আনিসের পরিবার ও তার বাবা পুলিশের ওপর ভরসা করতে না পেরে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। আর তারই মধ্যে বুধবার কাক ভোরে আনিশের দাদা সাবির খানের মোবাইলে একটি ফোন আসে। এক অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনটি আসে বলেই পরিবারের দাবি। ওই ফোনে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেই অভিযোগ করেন সাবির খান। যদিও এই হুমকি ফোনের অডিও যাচাই করেনি সময় কলকাতা।

তিনি জানান ভোরবেলা তার ফোনে অচেনা নম্বর থেকে ফোনটি আসে। সেই ফোনে ওপার থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয় “যদি সে সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে সরে না আসে তাহলে তাকে এবং তার বাবাকে এই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সাবির খান তাকে প্রশ্ন করাতে সে আবার বলে সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে সরে আসতে নতুবা সে সাবিরকে ও তার বাবাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে।” এভাবে হুমকি ফোন আসাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হলো বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই আনিস হত্যাকাণ্ডে দুজন পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।তবে   বারংবার সিটের কর্তারা আনিসের  বাড়িতে এসে তদন্তের কথা জানালেও আনিসের দাদা সাবির ও বাবা সেলিম খান কিন্তু সিবিআই ও কোর্টের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন। গতকাল দুবার সিটের সদস্যরা তাদের বাড়িতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসে। তাদের ঘিরেও চলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ। তারই মাঝে সাবিরের মোবাইলে হুমকি ফোন এলাকার সাধারণ মানুষকে আরো বিক্ষুব্ধ করে তুলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

পাশাপাশি ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ডে প্রতিদিনই চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপানউতোর। তারই মাঝে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলছে ছাত্র আন্দোলন ও প্রতিবাদ মিছিল। তেমনই আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ছাত্র সংগঠন মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এদিকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের  আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদে চলে বিক্ষোভ।

 

About Post Author