সময় কলকাতা ডেস্ক: গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ। শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত রয়েছে পন্থের। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে স্থিতিশীল ভারতীয় দলের উইকেট রক্ষক ব্যাটার। ক্রিকেট প্রেমীদের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কবে মাঠে ফিরবেন দিল্লির বাঁ হাতি ব্যাটার? পন্থ দলের বাইরে থাকলে জাতীয় দলে বিকল্প হবেন কে?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পন্থের সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে সময় লাগবে প্রায় ছয় থেকে নয় মাস। যদিও এখনও পন্থের শরীরের একটি ভাগের এমআরআই রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে চোট গুরুতর হলে সময় আরও বাড়বে। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দল যে পন্থকে পাচ্ছে না সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আগামী আইপিএলেও সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিট হয়ে মাঠে নামা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ অসি সফরে পন্থের বিকল্প হতে পারেন কারা? সে নিয়েও ক্রিকেট মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
ক্রিকেট মহলের একাংশের ধারণা, পন্থের বিকল্প হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে সঞ্জু স্যামসন। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে কড়া নাড়ছেন কেরালার স্যামসন। আইপিএলের পরিচিত মুখ। রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক ও নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ স্যামসনের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে জাতীয় দলের নির্বাচকদের বিরুদ্ধে বহুবার সরব হয়েছে। এবার স্যামসনের কাছে জাতীয় দলের দরজা খুলতে পারে।
এছাড়াও নাম উঠে আসছে বাংলার ঋদ্ধিমান সাহার। যখনই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন নিজেকে প্রমাণ করেছেন বাংলার ঋদ্ধি। আইপিএলের গত মরশুমেও ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। পন্থের বিকল্প হিসেবে এই মুহূর্তে অনেকটাই এগিয়ে ঋদ্ধি, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
এছাড়াও উঠে আসছে কে এস ভরতের নামও। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ভরত। ২০২১ মরশুমে আইপিএলে ব্যাঙ্গালোরের হয়েও নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। এবার পন্থের বিকল্প হিসেবে ভারতীয় দলে যোগ্য দাবিদার ভরত।
সর্বশেষ নামটি ঈশান কিষান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই একদিনের ম্যাচে সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিশত রান করেন ২৪ বছরের কিষান। আইপিএলেও দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। ঋষভের পরিবর্তে জাতীয় দলে নির্বাচকদের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে থাকবে বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।


More Stories
যশস্বীর শতরান, বিরাট-রোহিত যোগে ভারতের সিরিজ জয়
ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপের ফাইনালে
আবার সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির : ভয়ঙ্কর সুন্দরের কাব্য