সানী রায়, সময় কলকাতা,৮ জুন : কবিগুরু বলেছেন, “প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে।” ২০২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের আগের দিনটিতে তাঁর লেখা কথারাশি যেন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল উত্তরবঙ্গে। ভারতীয় তরুণীর প্রেমে ধরা পড়লেন এবং ফলশ্রুতিতে ভারতীয় পুলিশের হাতেও ধরা পড়লেন বাংলাদেশের এক যুবক। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের মধ্যে রয়েছে জটিল ও বেআইনি অভিসন্ধি। এই আন্তর্জাতিক বা আন্তর্দেশীয় প্রেমকাহিনীর সবগুলি অধ্যায় শেষ না হলেও ইতিমধ্যেই ধরপাকড়, মারধর, পাচারের অভিযোগ সবকিছুই জড়িয়ে গিয়েছে। কালঘাম ছোটার অবস্থা পুলিশের।
প্রেম শব্দটি যতই শ্রুতিমধুর হোক, সময় বিশেষে প্রেমের বাস্তব স্বাদ অত্যন্ত তিক্ত হয়ে ওঠে যা হয়েছে ওপার বাংলার এক যুবকের ক্ষেত্রে। এবং যা অভিযোগ উঠেছে তা সত্য হলে ভারত-বাংলাদেশ প্রেমকথায় তরুণীর ক্ষেত্রেও প্রেমের ফল অত্যন্ত বিষময় হয়ে উঠতে পারে বা পারত। আপাতত যা হয়েছে, সেই ঘটনা পরম্পরা এখনও পর্যন্ত প্রেমিক প্রেমিকার কাছে বিয়োগান্তক। কি আছে এই জটিল প্রেমকথায়?
১৭ রোগীর হত্যাকারী নার্সের ৭৬০-বছরের জেল
ঘটনায় প্রকাশ,প্রেমের টানে সীমান্ত পার হয়ে এপার বাংলায় এসে পুলিশের হাতে আটক হতে হল এক বাংলাদেশী ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাথাচুলকা গ্রামের এক তরুণীরও সাথে বাংলাদেশী এক ব্যক্তি মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় এই বাংলাদেশি নাগরিকের এবং ওই তরুনীর মধ্যে । এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুনীকে বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই বাংলাদেশী যুবক। তরুনী তাতে রাজিও হয়। বেশ ছক কষেই পাসপোর্ট, ভিসা নিয়ে বৈধভাবেই ভারতে আসে যুবক। সোমবার যুবক মালাবাজারে আসে তরুনীকে নিতে। তরুনী বাড়িতে কিছু না জানিয়ে যুবকের সঙ্গে যায় পালিয়ে । এরপর নাটকের অন্য অধ্যায় শুরু হয়।
তরুনীর খোঁজ না পেয়ে সোমবারই মেটেলি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। মঙ্গলবার ওই তরুনী এবং বাংলাদেশী যুবককে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করে মালবাজার থানার পুলিশ এবং তাদের মালবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় মেটেলি থানার পুলিশকে। সেইমত মেটেলি থানার পুলিশ মালবাজার থানায় এসে ওই দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মেটেলি থানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু মাঝপথে মালবাজার শহরের ক্যাল্টেক্স মোড়ে আচমকাই পুলিশের গাড়ি বিকল হয়ে যায়। সেইসময় তরুণীর পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা সেখানে চলে আসে। পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে তারা পুলিশের হাতে ধৃত বাংলাদেশী যুবক কে মারধর করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশকর্মীরা বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তরুনীর পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে।
খবর পেয়ে মালবাজার থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক তরুনী ও যুবককে আবার ঘুরিয়ে মালবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ওই বাংলাদেশি নাগরিক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।পরে অবশ্য অভিযুক্ত ও ধৃত বাংলাদেশী যুবক এবং তরুণী কে মেটেলি থানায় নিয়ে আসা হয়।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেটেলি থানার পুলিশ।সবমিলিয়ে আদ্যোপান্ত জটিল আন্তর্দেশীয় প্রেমকথায় পুলিশের কালঘাম ছোটার জোগাড়।।
More Stories
বিন্নাগুরি, মালদহের নারায়ণপুর, নদীয়ার করিমপুরের পর এবার নাগরাকাটা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে জমি দিল রাজ্য সরকার! কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই জমি প্রদান
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ওষুধের গায়ে QR কোড বাধ্যতামূলক, নির্দেশ স্বাস্থ্যদপ্তরের
‘নিপীড়ন রুখে দাঁড়াও জনগণ !”ধর্ষকেরা ধর্ষণ করে, প্রশাসন কী করে?’ উত্তাল বাংলাদেশ, পথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষ