সময় কলকাতা ডেস্ক, ২০ মেঃ রাজ্যের ৪২ টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হাওড়া। সোমবার রাজ্যের যে সাতটি কেন্দ্রের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ ছিল এই কেন্দ্রেও। এই আসনটি বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দখলে। টানা তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সংসদে পৌঁছেছেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বারও তার উপর আস্থা রেখেছে দল। তার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন দলবদলু ও হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। আর কংগ্রেসের সমর্থনে সিপিএমের টিকিটে লড়ছেন হাইকোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। ভোটের দিন সকালে ভোট দেরিতে শুরু হওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। এরপর প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মারার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লিলুয়া। এই এলাকার ভারতীয় স্কুলের ১৭৬ নম্বর বুথে বন্ধ হয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া। প্রিসাইডিং অফিসারের অভিযোগ, তাঁকে চড় থাপ্পড় মেরে ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়। খবর পেয়েই বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁকে সামনে পেয়ে প্রিসাইডিং অফিসার সম্পূর্ণ ঘটনা জানান।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হাওড়ার কাসুন্দিয়া মহাকালী বালিকা বিদ্যালয়ের ১৬১ নম্বর বুথে বাম প্রার্থীর এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই বুথে যান বাম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের এজেন্টদের বচসাও বাঁধে বুথের মধ্যেই। রাজ্যের বাকি কেন্দ্রগুলিতে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটলেও, হাওড়া কেন্দ্রে দেখা গেল সম্পূর্ণ উল্টোচিত্র। বিজেপি ও তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার উনসানি ষষ্ঠীতলা এলাকা। দুই দলের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন দু-পক্ষের বেশ কয়েকজন। ওই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি যেতেই পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। প্রার্থীকে সামনে পেয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। রবিবার রাত থেকেই তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। প্রার্থীর সামনেই গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে দু-পক্ষ। মারধরে মাথা ফাটে দু-পক্ষের বেশ কয়েকজনের। ঘটনাস্থলে যান হাওড়ার তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দোপাধ্যায়ও। তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে দোষীদের গ্রেফতারির দাবি জানান। পরিস্থিতি ফের যাতে উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে তার জন্য বিশাল সংখ্যার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকাতে।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Election: হুগলি কেন্দ্রে দুই তারকা দিদির জমজমাট লড়াই, বাজিমাৎ করবেন কে?
হাওড়ার লিলুয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই চলে গুলি, বোমা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার লিলুয়ার বজরঙবলী মার্কেট সংলগ্ন এলাকা। বুথের বাইরে বোমা-গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই বুথ ছেড়ে কার্যত পালিয়ে যান ভোটাররা। থমথমে হয়ে যায় গোয়া এলাকা। ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
More Stories
কলকাতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
‘থার্ড কাউন্সেলিং পর্যন্ত বৈধ’… এই বক্তব্য সম্পর্কে কিছুই জানেন না শিক্ষামন্ত্রী!
‘কেন গরমের মধ্যে বসে আছেন? স্কুলে যান, মাইনে পাবেন’, মমতার পরামর্শ