Home » সাকোয়াঝোরা: নামেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র,জল থইথই , পার্থেনিয়ামের অবাধ বংশবিস্তার!

সাকোয়াঝোরা: নামেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র,জল থইথই , পার্থেনিয়ামের অবাধ বংশবিস্তার!

সানী রায়,সময় কলকাতা, ৩১ মে : চেহারা ঠিক পোড়োবাড়ির মত নয়। হন্টেড হাউসও মনে হবে না।ঢোকার রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে আসার উপায় নেই তবে রাস্তা মোটামুটি পরিষ্কার রয়েছে,দেখতে পাবেন। বারান্দায় কিছু জমা জল পাবেন, বসতে না হয় নাই পারলেন! এত দূর পর্যন্ত ঠিক ছিল।এরপরে আপনার টনক নড়বে। দেখুন,অবাধ পার্থেনিয়াম বংশ বিস্তার করেছে। আরও ভালো করে দেখলে দেখতে পাবেন জমা জল চুঁইয়ে পড়ে জল জমে আছে। টিনের ছিদ্র দিয়ে জল পড়েই চলে। দেখবেন সামনে লাল- নীল রঙে লেখা আছে সাকোয়াঝোরা -১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র । অপরিসর রাস্তা নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না, জমে থাকা জল নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না, পার্থেনিয়াম নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না, জল পড়া আর টিনের ছিদ্র নিয়ে কিছু বলতে গেলেই আপনাকে ছিদ্রান্বেষী বলবেন রাজনৈতিক ক্ষমতায় পুষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি রুষ্ট হবেন। সাব ডিভিশনাল অফিসার  বলছেন, আবার অভিযোগ পেলে তবেই যাবেন। জনতা নামেই জনার্দন, তাদের অবস্থা বড়ই করুণ।

উপ – স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির  অবস্থা বেহাল ।বর্ষায় শিলা-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘর। অথচ বারংবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সারাইয়ের উদ্যোগ না নেওয়ায় বৃষ্টির মরশুমে এই মুহূর্তে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসা করাতে আশা রোগীরা। বানারহাট ব্লকের সাকোয়াঝোরা -১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ধুঁকছে।

সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের চালের ফুঁটো দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল । গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে লিখিত আকারে আবেদন করে মিলেনি সেরকম সাহায্য। সহযোগিতা বলতে মিলেছে শুধুমাত্র দুটো ত্রিপল। ভেঙে পড়েছে পরিষেবা । স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। প্রবেশদ্বারে গজিয়ে উঠেছে বিষাক্ত পর্থেনিয়াম আগাছা। মাঝে মাঝেই স্বাস্থ্য কর্মীরা নিজেদের উদ্যোগে সেই আগাছা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বলেই জানিয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না কোনো টোটো। যার কারণে অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের সমস্যায় পড়তে হয়।কারণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সামনে নর্দমার ওপর রয়েছে ছোট স্ল্যাব যার অর্ধেক অস্তিত্ব নেই

কেনো এই উপ – স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হল ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। সেই প্রশ্ন করতে গেলে বেজায় চটে যান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবণী দে (ঘোষ)। রীতিমত হুমকির সুরে পাল্টা প্রশ্ন করতে শুরু করেন তিনি। প্রশ্ন শুনতে রাজি নন তিনি, কারণ তাঁর কাছে উত্তর নেই।

যদিও পরবর্তীতে এবিষয়ে ধূপগুড়ির এস ডি ও (SDO) পুষ্পা ডলমা লেচপা কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি । স্বাস্থ্য দফতর ,বিডিও রয়েছে অভিযোগ পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অভিযোগের অপেক্ষায় প্রশাসনিক আধিকারিক।

এভাবেই চলছে। এরকম করেই দিন গুজরান করছেন মানুষ। বাইরে বাতাসে পার্থেনিয়ামের বিষবাষ্প, ভেতরে জল থইথই। উপায়ান্তর নেই, শরীরের নাম মহাশয়। যা সওয়াবে তাই সয়। পার্থেনিয়াম সয়, থইথই জল সয়। পঞ্চায়েত প্রধানের চোখ রাঙানীও সয়!

About Post Author