Home » T20 World Cup: মার্করামের অবিশ্বাস্য ক্যাচ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

T20 World Cup: মার্করামের অবিশ্বাস্য ক্যাচ, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক, সময় কলকাতা, ১১ জুনঃ কার্যত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের অনেকটা পুনরাবৃত্তি হল বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। সোমবার নিউ ইয়র্ক সাক্ষী থাকল আরও একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের। নাটকীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬  উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে বাংলাদেশকে থামতে হল ১০৯ রানে। শেষ ওভারে বিশ্বমানের ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম।

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্ট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২২ গজ যে বোলারদের স্বর্গরাজ্য, বোঝা গিয়েছিল ভারত পাক ম্যাচেই। ২৪ ঘন্টা পর সেই মাঠেই টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিং অ্যাটাকের সামনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ওপেনার রিজা হেন্ড্রিক্স ফেরেন রানের খাতা না খুলেই। অন্য ওপেনার কুইন্টন ডি’কক শুরুটা ভাল করেও বড় রান করতে ব্যর্থ। ১১ বলে ১৮ রান করে তিনি আউট হন। মারেন ১ টি চার ও ২ টি ছয়।  তিন নম্বরে নেমে ৮ বল খেলে ৪ রান করে ডাগআউটমুখী হন অধিনায়ক মার্করাম। আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে থাকা ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকেও ফিরতে হয় রানের খাতা না খুলে। ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। কঠিন সময়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ৪৪ বলে ৪৬ রান করে আউট হন ক্লাসেন। মারেন ২ টি চার ও ৩ টি ছয়। মিলার ২৯ রান করেন ৩৮ বল খেলে। একটি করে চার ও ছয় মারেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে দারুণ বোলিং করলেন তানজিম হাসান। ১৮ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট।  তাসকিন ১৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিলেও উইকেট পাননি মুস্তাফিজুর রহমান।

আরও পড়ুনঃ Rohit Mondal: টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলার নেতৃত্বে রোহিত

১১৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশেরও। মার্কো জানসেন ও কাগিসো রাবাডা শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকেন। দ্বিতীয় ওভারে তানজিদকে ফেরান রাবাডা। ৯ বলে ৯ রান করেন তিনি। তারপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বেঙ্গল টাইগাররা। নাজমুল হোসেন ২৩ বলে ১৪ রান করে আউট হন। কিন্তু এদিন রান পাননি দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার লিটন দাস ও শাকিব আল হাসান। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থায় দলকে নির্ভরতা দেন তৌহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানে জুটি গড়েন তাঁরা। কিন্তু দুই ব্যাটারের অতি মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য আস্কিং রেট বাড়তে থাকে। অষ্টাদশ ওভারে আউট হন তৌহিদ। ৩৪ বলে করেন ৩৭ রান। তার ব্যাট থেকে দুটি করে চার ও ছয় আসে। মাহমুদুল্লাহ তখনও বাংলাদেশকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান দরকরা ছিল। পঞ্চম বলে কেশব মহারাজের ফুলটস বলে বড় শট নিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু লং অন বাউন্ডারিতে ছোঁ মেরে সেই বল ধরে নেন আইডেন মার্করাম। ২৭ বলে ২০ রান করে ফিরতে হয় মাহমুদুল্লাহ। সেখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩ উইকেট নিলেন কেশব মহারাজ। ২ টি করে উইকেট নিলেন আনরিখ নোকিয়া ও কাগিসো রাবাডা।

About Post Author