সময় কলকাতা ডেস্ক: ১৯ জুনঃ লোকসভা ভোটের ফলাফলের দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে গ্রেফতার হন বিজেপি কর্মী সঞ্জয় বেরা। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠায়। মেদিনীপুর জেলে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয়ের। জেল কর্তৃপক্ষর দাবি, মাটিতে পড়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন সঞ্জয়। মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সেনা হাসপাতাল বা কেন্দ্রীয় হাসপাতালে করার আবেদনও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
বুধবার দুপুর দু’টোয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওই মামলার শুনানি হয়। জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মীর সঞ্জয় বেরার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার পুরুষোত্তম এলাকায়। শুভেন্দুর দাবি, গত ৪ জুন ডেবরায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। তাঁর জেল হেফাজত হয়। জেলে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জয়। তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে মেদিনীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। তারপর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশের বক্তব্য, সঞ্জয় মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথার গুরুতর চোট পেয়েছিলেন।
বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, পুলিশ একটা অযৌক্তিক দাবি করছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। আইন শৃঙ্খলার ওপর থেকে মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। আইনের যাঁরা রক্ষক, তাঁদেরকেই আর মানুষ বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠছে। হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার মধ্যেই জেল হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
#SuvenduAdhikari
#DeathofBJPworkerinjailcustody
#Latestbengalinews
More Stories
অনশন প্রত্যাহার চাকরিহারাদের, মঞ্চ থেকেই নতুন হুঁশিয়ারি!
রাজ্যে কবে হবে ছাত্র সংসদের নির্বাচন, জানালেন শিক্ষা মন্ত্রী
প্রাথমিক স্কুলের পাশেই পরিত্যক্ত ও আগাছায় ভরা কুয়ো! ভয়ে একা বেরোয় না শিশুরা