Home » Hemant Soren : জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন হেমন্ত, এবার বিদ্রোহের পথে সিংভূমের সিংহ?

Hemant Soren : জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন হেমন্ত, এবার বিদ্রোহের পথে সিংভূমের সিংহ?

সময় কলকাতা ডেস্ক, ৪ জুলাইঃ নিজের ছেড়ে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ফের হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী রবিবার অর্থাৎ ৭ জুলাই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয় বারের জন্য শপথ নেবেন শিবু সোরেন পুত্র। কিন্তু দেখা গেল বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি। বুধবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন চম্পই সোরেন। তাঁর ইস্তফার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যপাল সিভি রাধাকৃষ্ণণ হেমন্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই মত বিকেল পাঁচটার সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করে আবারও ঝাড়খণ্ডের মসনদে বসলেন হেমন্ত সোরেন।

এদিন দুপুরে জেএমএম দলের প্রতিষ্ঠাতা তথা কার্যকারী সভাপতি হেমন্ত সোরেন দল ও জোট সঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আর এক জোটসঙ্গী আরজেডির নেতা সত্যানন্দ ভক্ত। সেই বৈঠকে জেএমএমের শরিক দলগুলির যৌথ সিদ্ধান্তে ঠিক করা হয় বিকালেই শপথ গ্রহণ করবেন হেমন্ত সোরেন। জানা গিয়েছে, হেমন্ত সোরেন জামিন পাওয়ার পর বুধবার পরিষদীয় দলের বৈঠকে বসেন জেএমএম নেতৃত্ব। সেখানেই চম্পইকে সরিয়ে পুনরায় হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফেরানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়। যদিও গদি হারানোর সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি চম্পই। এতটাই অপমানিত বোধ করেছেন যে গতকাল সন্ধ্যায় নিজে গিয়েই ইস্তফা দিয়ে আসেন। সিংভূমের সিংহ বলে পরিচিত চম্পইকে শান্ত করার জন্য দলের কার্যকারী সভাপতির পদটি তাঁকে দেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর। যদিও এই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিজেপির প্রবীণ সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডে চম্পই জমানা শেষ।’ আর কয়েকমাস পরেই পড়শি এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ইন্ডিয়া জোট যদি সেই ভোটে হেমন্তকে মুখ করে তাহলে বিরোধী দল যে ফের পরিবারবাদ ও দুর্নীতি নিয়ে আসরে নামবে সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। চম্পই নিজে আগামীদিনে শিবির বদল করবেন কিনা তা নিয়েও চলছে জোর জল্পনা।

আরও পড়ুনঃ মার্কিং শুরু : বারাসাতের রাস্তা জবরদখল করে থাকা হকারদের এলাকা সীমাবদ্ধ করা ও উচ্ছেদ অভিযানের তোড়জোড়

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে জমি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অবর্তমানে জেএমএম নেতৃত্ব চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী করেন। রাঁচির বিরসা মুণ্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে তিনি মুক্তি পান।

About Post Author