Home » মার্কিং শুরু : বারাসাতের রাস্তা জবরদখল করে থাকা হকারদের এলাকা সীমাবদ্ধ করা ও উচ্ছেদ অভিযানের তোড়জোড়

মার্কিং শুরু : বারাসাতের রাস্তা জবরদখল করে থাকা হকারদের এলাকা সীমাবদ্ধ করা ও উচ্ছেদ অভিযানের তোড়জোড়

সময় কলকাতা ডেস্ক, ৪ জুলাই : বারাসাতের অধিকাংশ রাস্তাই ছোটখাটো বাজারের চেহারা নিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না, মানুষের পথ চলা দায়, দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার ব্রিগেড ঢুকতে পারবে না এতটাই ঘিঞ্জি জাতীয় সড়কের গায়ে লেগে থাকা বারাসাতের বিভিন্ন রাস্তা। এবার সাধারণ পথচারী বা স্থানীয়দের সমস্যা নিরসনে এগিয়ে এল বারাসাত পুরসভা।অবশেষে অবৈধভাবে সরকারি জায়গার জবরদখলকারী হকারদের এলাকা সীমাবদ্ধ করে দেওয়া, সরানো বা উচ্ছেদের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেল। যাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের বিকল্প স্থান ঠিক করা আছে, দাবি পুর প্রশাসনের।

বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা সদর শহর বারাসাতের প্রাণ কেন্দ্রে  চলল জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেওয়া বা উচ্ছেদের প্রাথমিক পর্ব মার্কিংয়ের কাজ। বারাসতের  ১২ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে কলোনি মোড় পর্যন্ত জবর দখল করে রাখা এলাকা চিহ্নিত করে ফেলেছে প্রশাসন। জবর দখলকারীদের তথা অবৈধভাবে এলাকা দখল করে থাকা হকারদের তাদের ব্যবসাস্থল সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বারাসাতে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়িকভাবে ছুটির দিন। বারাসাতে বৃহস্পতিবার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকে। এদিন মাপজোখের সুবিধা হয়েছে প্রশাসনের। অনেক দোকান বন্ধ থাকায় মার্কিং  দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। চিহ্নিত ও সীমাবদ্ধ করা হয়েছে অনেক দোকানের  এলাকা। দোকানের বাইরে পসরা  বা দোকানের কোনও সামগ্রী রাখা যাবে না। কিছু দোকানকে সরেও যেতে হচ্ছে।তবে তাদের পুনর্বাসনের  জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা।

মার্কিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন বারাসাত পুরসভার বারাসত পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার দেবব্রত পাল জানিয়েছেন, এই ভাবনা বহু আগেই নেওয়া হয়েছে। বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার পাশে রয়েছেন এই উদ্যোগের, দল মানুষের অসুবিধা না দেখে হকারদের  চলাচলের পথ দখল করে রাখার ঘোর বিরোধী। দেবব্রত পাল এও জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছিল , প্রয়োজনের সময়ে  অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না এই সারিবদ্ধ হকারদের দোকানের প্রতিবন্ধকতায়। অনেক দোকান সুষ্ঠ নাগরিক জীবনের পরিপন্থী। দেবব্রত পাল এও জানিয়েছেন, হকাররা জবর দখল করা এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পরে তারা যেন জীবিকা না হারায় সেদিকেও তাদের লক্ষ্য রয়েছে। কিছু দোকানকে তাদের পুরনো জায়গা থেকে উৎখাত হতেই হবে,  তাদের পুনর্বাসনের  পরিকল্পনা  স্থির করে রাখাই আছে, দাবি বারাসাত পুরসভার।

অন্যদিকে সিপিআইএম কাউন্সিলর বরুণ ভট্টাচার্য বলেছেন, তৃণমূলের উদ্যোগেই  এখন জবরদখলকারী বলে হকারদের ঘর তৈরি করে ফ্লাইওভারের তলায় বসানো হয়েছিল।এখন হকারদের পথে বসাতেও তারাই উদ্যোগ নিচ্ছে, সেক্ষেত্রে সঠিক পুনর্বাসন দিতে হবে। সিপিআইএম কাউন্সিলের বক্তব্য, শুধু হকাররাই নয় অনেক স্থায়ী দোকানও এলাকা, ছাউনি ও পসরা সাজিয়ে জনসাধারণের পথ চলাচলের অসুবিধার কারণ।।।

About Post Author