Home » Catches in Cricket Match: ক্যাচেস উইন ম্যাচেস

Catches in Cricket Match: ক্যাচেস উইন ম্যাচেস

স্পোর্টস ডেস্ক, সময় কলকাতা, ৫ জুলাইঃ শুধুমাত্র ক্যাচ ধরে বা রান আউট করে ম্যাচের সেরা হওয়া যায় কি? যারা ভাবছেন যায় না তাঁরা জানেন না অন্তত পাঁচটি ম্যাচে শুধুমাত্র ভালো ফিল্ডিং করার সুবাদে, ক্যাচ ধরে বা রান আউট করে  ম্যান অফ দা ম্যাচের খেতাব  পেয়েছেন পাঁচজন খেলোয়াড়।

কথাতেই আছে,ক্যাচেস উইন ম্যাচেস।ক্রিকেটে ক্যাচ যে ম্যাচ জেতায় সে কথা প্রমাণিত সত্য। তবে ক্যাচ শুধু নয় ফিল্ডিং করে রান বাঁচিয়ে আর প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের রানআউট করেই ম্যাচের রং বদলে দেওয়া যায়।  তবুও ফিল্ডারদের কেই বা আর ম্যাচ উইনার ধরে!ব্যাটিং বা বোলিং – ফিল্ডিং ছাড়াও অন্য বিভাগে দক্ষ হতে হবেই। জন্টি রোডস অবশ্যই একমাত্র ব্যতিক্রম। তবুও তিনি মাঝেমধ্যে ব্যাট হাতেও বেশ কিছু দরকারি ইনিংস খেলেছেন দলের স্বার্থে। ফিল্ডারদের যতই গুণগান করা হোক সে হালের রবীন্দ্র জাদেজা বা অতীতের আজাহারউদ্দিন- কেউই ফিল্ডিংয়ের জোরে দলে জায়গা পান নি। কোনও দেশেই এরকম হয় নি। অথচ একটি ক্যাচ ধরা বা ছাড়ায় খেলার আমূল চিত্র পাল্টাতে দেখা গিয়েছে বারবার। তবুও ফিল্ডাররা তুলনামূলক স্বীকৃতি কম পান। শুধুমাত্র ক্যাচ ধরে আর রান আউট করে কজনই বা ম্যাচের সেরার শিরোপা পেয়েছেন? বিরল হলেও খালি ফিল্ডিং দক্ষতার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচের সেরা হতে দেখা গিয়েছে কিছু ক্রিকেটারকে।

আরও পড়ুনঃ East Bengal : দলবদলে বড় চমক, আবারও ইস্টবেঙ্গলে মোহন জনতার আদরের ‘সেভ-জিৎ’

অন্তত পাঁচটি নিদর্শন রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেখানে ফিল্ডার ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। প্রথমেই যে নামটি আসবে তার নাম গাস লোগি। ছোটখাটো চেহারার  এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার দুর্দান্ত ফিল্ডার ছিলেন আশির দশকে। সম্ভবত তিনি প্রথম কোনও ফিল্ডার যিনি ফিল্ডিং দক্ষতার সুবাদে ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পান। শারজায় ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচে  তিনটি অবিশ্বাস্য ক্যাচ তিনি ধরেন এবং পাশাপাশি জাভেদ মিয়াদাদকে রান আউট করে ফিরিয়ে দেন। সবমিলিয়ে পাকিস্তানকে ১৪৩ রান অলআউট করে দেওয়ার পেছনে তার অসামান্য ভূমিকা ছিল, পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের  মেরুদন্ডই ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। রান তাড়া করে  ম্যাচ জিতে নিতে অসুবিধা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

১৯৮৯ সালে ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে ক্যালিপসো কিং ভিভিয়ান রিচার্ডস দুর্দান্ত তিনটি ক্যাচ ধরে দিলীপ বেঙসরকার, রমন লাম্বা এবং মনোজ প্রভাকরকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজে র হয়ে ব্যাট করতেই নামেননি ভিভিয়ান রিচার্ডস। তবুও ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি পান তিনি কেবলমাত্র ফিল্ডিং এর সুবাদে ।

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ওপেনার  মার্ক টেলার ১৯৯২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে  ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন সে ম্যাচে তাঁর ফিল্ডিং এর সৌজন্যে। চারটি ক্যাচ ধরেছিলেন তিনি।লোগি, হুপার, জুনিয়র মারে  ও আর্থারটনের ম্যাচের ভাগ্য করে দেন মার্ক টেলার।

সারা জীবন ধরে প্রতিটি ম্যাচে তুখোড় ফিল্ডিং করে যিনি বিশ্ববাসীর  মন জিতে নিয়েছেন, তিনিও আছেন ফিল্ডিং এর সুবাদে ম্যাচের সেরা হওয়ার তালিকায়। ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে  একদিনের ম্যাচে  ব্যাট হাতে চল্লিশ রান করলেও সে ম্যাচে তার  ধরা পাঁচটি অবিশ্বাস্য ক্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের কারণ হয়ে ওঠেন জন্টি রোডস।

সাম্প্রতিক সময়ে, দক্ষিণ আফ্রিকারই  আরেক ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার মাঝে মাঝেই ফিল্ডিং ও ক্যাচ দিয়ে ম্যাচের ছবি পাল্টে দিয়েছেন। ২o১৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি ম্যাচে ছটি আউটের পেছনেই ছিল তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা। চারটি ক্যাচ ও দুটি রান আউট করে তিনি সে ম্যাচে প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের সম্মানও পান।।

About Post Author