Home » ঝড়-বৃষ্টির মাঝেই এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিম, তীব্র আতঙ্কে পর্যটকরা

ঝড়-বৃষ্টির মাঝেই এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিম, তীব্র আতঙ্কে পর্যটকরা

সময় কলকাতা ডেস্ক, ৬ জুলাই: বর্ষার তাণ্ডবলীলায় বিপর্যস্ত সিকিম। বিপর্যয় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সিকিমের। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত সিকিম। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তায় তৈরি হয়েছে হরপা বান। ইতিমধ্যেই সিকিমের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। প্রবল বৃষ্টি ও ভূমি ধসের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়-বৃষ্টির মাঝেই  শনিবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিম। সিকিমের টাডং এলাকা থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এদিনের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ২.৯। এর প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ পূর্ব সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে। এই ভূমিকম্পের জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পর্যটকদের মধ্যে। ১৯ মাইলের কাছে রাস্তায় বোল্ডার পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে যাতায়াত। এদিকে, বারবার ধসের জেরে বিপর্যস্ত সিকিমের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কখনও ধস তো কখনও আবার অতিবৃষ্টিতে তিস্তা প্লাবিত হয়ে জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে সিকিমে লাল সতর্কতা জারিও করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে উত্তর সিকিমে। সিকিমের বৃষ্টিতে ডুবতে পারে উত্তরের সমতল। সিকিমে আরও ধস নামতে পারে, বিপাকে পড়তে পারেন কয়েক হাজার পর্যটক। তিস্তার পাশাপাশি জল বাড়ছে অন্য নদীগুলিতেও। শুক্রবার রাতেও সিকিম সহ দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টি হয়। তারপরেই পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তা বাজারের কাছে কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বিপদজনক হয়ে ওঠায় রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জলে ডুবেছে বেশ কিছু এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর তিস্তার জল চলে এসেছে। তিস্তার চরে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে বেশ কিছু বাড়ি। বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিভিল ডিফেন্স এবং এনডিআরএফ এর দলকে। জানা যাচ্ছে, ধস নেমে সেতু ভেঙে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে লাচুং, লাচেন-সহ সিকিমের বহু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে উদ্ধারকাজেও বেগ পেতে হচ্ছে।

#latestbengalinews

About Post Author