স্পোর্টস ডেস্ক, সময় কলকাতা, ৯ জুলাইঃ আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। তারপর ইউরো ২০২৪-এর মেগা সেমিফানালে মুখোমুখি হতে চলেছে ফ্রান্স বনাম স্পেন। দেশঁর দলের গতিশীল ফুটবল, নাকি লা ফুয়েন্তের দলের শৈল্পিক ফুটবল, কারা জায়গা করে নেবে এবারের প্রতিযোগিতার ফাইনালে? এমবাপ্পে নাকি ইয়ামাল, ডেম্বলে নাকি উইলিয়ামস, চুয়াওমেনি নাকি রড্রি ম্যাচের শেষে হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে দেখা যাবে কাদের? নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল মহলে। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে চড়ছে উন্মাদনার পারদ। প্রত্যেকেই চাইছে ফাইনালে উঠুক তাঁদের প্রিয় দল।
চৌষট্টি বছরের প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দুইবার ইউরোপ সেরা হয়েছে ফ্রান্স। প্রথমটা ১৯৮৪ সালে। সেই বার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিংবদন্তী ফরাসি ফুটবলার মিচেল প্লাটিনি। ২০০০ সালে দিদিয়ের দেশঁর নেতৃত্বে ও জিনেদিন জিদানের সৌজন্যে দ্বিতীয়বারের জন্য এই খেতাব ঘরে তোলে ফরাসি ব্রিগেড। ২০১৬ সালে তৃতীয়বারের জন্য ইউরো কাপ জয়ের সুযোগ ছিল তাদের কাছে। অধিনায়ক ও কোচ হিসাবে ইউরো জয়ের নজির গড়তে পারতেন দিদিয়ের দেশঁ। ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন জার্মানির বেরতি ফক্টসকে। কিন্তু ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হেরে যায় তাঁর দল। ফ্রান্স দলের প্রশিক্ষক হিসেবে ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ জেতেন দেশঁ। ছুঁয়ে ফেলেন জার্মান কিংবদন্তী ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ার ও ব্রাজিল কিংবদন্তী মারিও জাগালোকে। তবে ইউরো কাপ এখনও তাঁর অধরা রয়ে গিয়েছে। এবার তাঁর সামন্যে সুযোগ রয়েছে দেশের হয়ে অধিনায়ক ও কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ ও ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এই দুই ভূমিকায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ট্রফি জয়ের নজির অতীতে নেই। তবে দেশঁকে চিন্তায় রেখেছে দলের ফুটবলারদের বিশেষ করে স্ট্রাইকারদের গোলের খরা। এখনও পাঁচ ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে এমবাপ্পেরা গোল করেছেন মাত্র তিনটি। দলের প্রধান তারকা কিলিয়েন এমবাপ্পে করেছেন মাত্র একটি গোল। তাও সেটা তিনি করেছেন পেনাল্টি থেকে। সেমিফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত স্ট্রাইকার খেলানো ভাবনা রয়েছে ফ্রান্স কোচের। কিলিয়াম এমবাপ্পে ও ডেম্বলের সঙ্গে সামনে তিনি জুড়ে দিতে পারেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিহুকে। আর্সেনালের প্রাক্তন এই ফুটবলারের বড় ম্যাচে গোল করার নজির রয়েছে। সেক্ষেত্রে দল থেকে বাদ পড়তে পারেন আন্তোনিও গ্রিজম্যান।
আরও পড়ুনঃ Thiago Alcantara : পেশাদারী ফুটবলকে বিদায় জানালেন থিয়াগো
অন্যদিকে, তিনবার ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। ১৯৬৪ সালে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সংস্করণে ফেরান অলিভেল্লার নেতৃত্বে এই খেতাব জিতে নেয় তারা। ১৯৮৪ সালে স্পেনের সামনে সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কিন্তু ফাইনালে প্লাতিনির দলের কাছে ফাইনালে হারতে হয়েছিল। দ্বিতীয়বার এই ট্রফি জয়ের জন্য স্পেনকে অপেক্ষা করতে হয় চুয়াল্লিশ বছর। ২০০৮ সালে ইকের ক্যাসিয়াসের নেতৃত্বে ইউরোপ সেরা হয় স্পেন। ২০১২ সালেও রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন গোলরক্ষকের নেতৃত্বেই টানা দ্বিতীয়বারের জন্য এই প্রতিযোগিতায় সেরা হয় স্প্যানিশরা। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে নতুন নজির গড়ে স্পেন ও তাদের অধিনায়ক ক্যাসিয়াস। এবারে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে স্পেন। দলে এবার তারুণ্যের আধিক্য। তবে সেই দল নিয়েই জার্মানির মত শক্তিশালী দলকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দে লা ফুয়েন্তের ছেলেরা। চোট ও কার্ড সমস্যা রয়েছে দলে। গত ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় তারা পাবেনা দলের অভিজ্ঞ সাইড ব্যাক ডানি কার্ভায়ালকে। চোটের কারণে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছেন তরুণ মিডফিল্ডার পেদ্রি। ফলে কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে স্পেন শিবিরও। কিন্তু নিজেদের সেরাটুকু দিয়ে এই ম্যাচ জিততে চান স্পেনের কোচ।
More Stories
হায়দরাবাদের পাঁচ তারা হোটেলে আগুন! ওই হোটেলেই রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ টিম
সাফল্য পাবেন অধিনায়ক ধোনি? চেন্নাই-কলকাতা ম্যাচ বাজিমাত করবেন কে?
ফের দিবালোকে প্রকাশ্যে বালি চুরির ঘটনা মালদায়