সময় কলকাতা ডেস্ক, ৯ জুলাইঃ সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সন্দেশখালি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। রাজ্যের আর্জি খারিজ করে সোমবার এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিন বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তাতেই রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখে। এদিন সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করে, রাজ্য কেন একজনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে?’ সন্দেশখালিতে একাধিক নারী নির্যাতনের, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তার মাঝে কেন রাজ্য সরকার আলাদা করে এই ইস্যুতে আগ্রহ দেখাচ্ছে তা বুঝতে পারছে না আদালত। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, মাসের পর মাস রাজ্য সরকার এই ঘটনায় কিছুই পদক্ষেপ করেনি।
আরও পড়ুন চোপড়া কাণ্ডে মহম্মদ সেলিম ও অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের নির্যাতিতার
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে শাহজানের জমি দখল করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে। চার্জশিটে ইডির দাবি, জমি দখলের টাকায় ৮৭ লক্ষ টাকার সোনা এবং চারটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছিল শেখ শাহজাহান। একই সঙ্গে চারজনের নামে মোট ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। এছাড়াও শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা যে ৫০ লাখ টাকা শাহজাহানকে দিয়েছে, সেই প্রমাণ পেয়েছে ইডি। তার ভিত্তিতে ইডির দাবি, শাহজাহানের সম্পত্তির মূল্য্ ২০০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিকরা একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন আদালতে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, চিংড়ির ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান। জানা গিয়েছে, চিংড়ি মাছের রফতানির কাজ করা দুটি সংস্থার মাধ্যমে শাহজানের সংস্থায় ওই পরিমাণ টাকা ঢুকেছিল। ইতিমধ্যেই সেই টাকা লেনদেনের নথিও সংগ্রহ করেছে ইডি। ইডির দাবি, ভুয়ো ভেড়ির মালিকদের কাছ থেকে মাছ কেনার নামে চলত কালো টাকা সাদা করার কাজ। এসকে সাবিনা নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করত। তারা ভুয়ো ভেড়ি মালিকদের কাছ থেকে মাছ কিনত। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর দাবি, আদিবাসীদের জমি দখলদারি সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ডও ছিলেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। শাগরেদদের সামনে রেখে চলত সেই দখলদারিও।
#Sandeshkhalicase
#Latestbengalinews
#CBI
More Stories
অনশন প্রত্যাহার চাকরিহারাদের, মঞ্চ থেকেই নতুন হুঁশিয়ারি!
রাজ্যে কবে হবে ছাত্র সংসদের নির্বাচন, জানালেন শিক্ষা মন্ত্রী
প্রাথমিক স্কুলের পাশেই পরিত্যক্ত ও আগাছায় ভরা কুয়ো! ভয়ে একা বেরোয় না শিশুরা