সময় কলকাতা ডেস্ক, ১০ জুলাইঃ পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর সিবিআই। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। এজেন্টের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন নিয়েছিলেন অয়ন শীলের এজেন্টরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে এবার বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের। অন্যদিকে, চার্জশিটে শমীক চৌধুরী নামে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অয়নের বন্ধু এবং এজেন্ট ছিলেন এই শমীক। ১০-১২ জনকে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দিয়েছেন তিনি। দেবেশ চক্রবর্তী ওরফে কানুদার মাধ্যমেও অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন অন্তত ১৪ জন চাকরিপ্রার্থী। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন সকাল ১১ টা পর্যন্ত বাংলার চার কেন্দ্রে ভোটের গড় হার ২৪.২০ শতাংশ, ভোটদানের হারে এগিয়ে রাণাঘাট দক্ষিণ
ইতিমধ্যেই সিবিআই জানিয়েছে, কলকাতা-সহ ১৬টি পুরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেকে চাকরি পেয়েছেন। আর এসব ক্ষেত্রে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন প্রমোটার অয়ন শীলের সঙ্গীরা। মঙ্গলবারই নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল অয়নের সঙ্গী দেবেশ চক্রবর্তীকে। সূত্রের খবর, দেবেশ মূলত মিডলম্যানের কাজ করতেন। তাই মিডলম্যান হিসাবে আর কে কে কাজ করতেন। কার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার হাতে দিতেন, এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেবেশের থেকে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এদিনই তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এর পাশাপাশি সিবিআই জানতে পেরেছে, অয়ন ঘনিষ্ঠ দেবেশই ৬০০ জনেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের জন্য পাঠিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা করেছেন সিবিআই। সেখানেই দেবেশ চক্রবর্তী ওরফে কানুর নাম রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবারই আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। তাতে পুর নিয়োগ দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত অয়ন শীলের পাশাপাশি দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায় এবং দেবেশ চক্রবর্তীর নামও ছিল। সিবিআইয়ের চার্জশিট মারফত জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারির সময় দক্ষিণ দমদম পুরসভায় মোট ২৯ জনের চাকরি বাতিল হয়েছিল। সেই চাকরি নিয়ম বহির্ভূতভাবে হওয়ায় তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বলে সিবিআই উল্লেখ করেছে। এই ২৯টি পদে চাকরি কি টাকা বিনিময়ে হয়েছিল নাকি অন্য কিছু বিনিময়ে, তা এখনও তদন্তাধীন। তবে পাচু রায় পুরসভার চেয়ারম্যান (Chairman) থাকাকালীনই এই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে চার্জশিটে (Chargesheet)। অন্যদিকে, পুরনিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম রয়েছে অয়ন শীলেরও। তাঁর সল্টলেকের ফ্ল্যাট ও হুগলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে অনেক নথিই পাওয়া গিয়েছে, যা পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত বলেই জানতে পেরেছন তদন্তকারীরা। একাধিকবার অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বয়ান এবং উদ্ধার হওয়া নথি থেকে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি সিবিআই, ইডির।
#Latestbengalinews
#CBI
#ED
#Recruitmentcorruptioncaseinmunicipality
#অয়নশীল
#AyanSheel
More Stories
দুর্গাবিসর্জন : চলে গেলেন পথের পাঁচালীর “দুর্গা” উমা দাশগুপ্ত
উত্তরবঙ্গে মমতার সফরের মাঝেই বোনাসের দাবিতে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক চা শ্রমিকদের
সন্তান প্রসবের পর মূত্রথলি কেটে ফেলায় মৃত্যু প্রসূতির, ধুন্ধুমার দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে