সময় কলকাতা ডেস্ক, ১৮ নভেম্বর : বাস্তবে দুর্গাবিসর্জন, বিষণ্ণ বাঙালি। পথের বাঁকে হারিয়ে যাচ্ছেন পথের পাঁচালীর কুশীলব-রা।একে একে শূন্য হয়ে যাচ্ছে নিশ্চিন্তিপুর। শূন্য পথে বিলীন হয়ে যাচ্ছেন হরিহর, সর্বজয়ারা। অপু – দুর্গারা ছিলেন। দুর্গা এবার চিরবিদায় নিলেন। চলে গেলেন পথের পাঁচালীর দুর্গা চরিত্রে অভিনয় করে মন কেড়ে নেওয়া উমা দাশগুপ্ত। ক্যান্সারে দীর্ঘ রোগভোগের পরে সোমবার সকালে প্রয়াত হন তিনি।
১৯২৯ সালে লেখা পথের পাঁচালী ১৯৫৫ সালে চলচ্চিত্র হয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাসকে চলচ্চিত্রায়িত করে পথের পাঁচালীর বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জনের মূল কারিগর পরিচালক সত্যজিৎ রায় চলে গিয়েছেন তিন দশক আগে।হরিহরের চরিত্রে কানু বন্দ্যোপাধ্যায় বা সর্বজয়ার চরিত্রে করুণা বন্দ্যোপাধ্যায় -ও চলে গিয়েছিলেন আগেই। এবার উমা দাশগুপ্তর প্রয়াণের পরে পড়ে রইলেন অপু চরিত্রে খ্যাত সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাদার্ণ এভিনিউয়ে একা থাকতেন। শেষের দিকে সেভাবে মানুষজনের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে চাইতেন না তবু মনে করতেন একটি সিনেমায় অভিনয় করে তিনি যে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন ও মানুষ মনে রেখেছেন তাই তার কাছে অনেক।
উপন্যাস ও চলচ্চিত্রে কাশবনে ঘুরে ট্রেন দেখতে যাওয়া ভাইবোনের আখ্যান বারবার নাড়া দিয়েছে পাঠক ও দর্শককে। বর্ষায় ভিজে প্রচণ্ড জ্বর বাঁধিয়ে দুর্গার মৃত্যু ঘটে বলে চলচ্চিত্রে দেখানো হলেও উপন্যাসে মৃত্যুর কারণ অজানাই রাখা হয়েছে। দুর্গা বাস্তব জীবনে ঘুমের দেশে চলে গেলেন ক্যান্সারে। দুর্গা বিসর্জনে ব্যথিত বঙ্গ, ব্যথিত বাঙালি।।
দুর্গাবিসর্জন #দুর্গাবিসর্জন
আরও পড়ুন যুদ্ধে ইউক্রেনে শিশুমৃত্যু বাড়ছে
আরও পড়ুন আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণ ছত্রিশগড়ে


More Stories
বাস্তবতায় স্বপ্ন ও কুরোসাওয়ার চলচ্চিত্র
চিরবিদায়! তারার দেশে মহাতারকা ধর্মেন্দ্র
আইনশৃঙ্খলার পাঠ : বিহারের কাছে কি পশ্চিমবঙ্গকে শিখতে হবে ?