Home » ‘নির্যাতিতার বাবা-মাকে নিয়ে রাজনীতি বিজেপির’, বিজেপিকে তুলোধোনা তৃণমূলের

‘নির্যাতিতার বাবা-মাকে নিয়ে রাজনীতি বিজেপির’, বিজেপিকে তুলোধোনা তৃণমূলের

সময় কলকাতা ডেস্ক:- আরজি করে নির্যাতিতা চিকিত্সকের মৃত্যুর একবছরে শহরজুড়ে প্রতিবাদী জমায়েত। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় যথাযথ বিচার মেলেনি বলে অভিযোগ তুলে সিবিআই-এর উপর চাপ তৈরির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি। শনিবার একদিকে পার্ক স্ট্রিট, অন্যদিকে সাঁতরাগাছিতে বিজেপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলছে। পার্ক স্ট্রিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। সেখানে ছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবাও।

ধস্তাধস্তিতে অভয়ার মা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে তৃণমূল গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক নাটক বলে দাবি করেছে। বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীকে নিশানা করে দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, তিনি নিজে সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখাবে বলে নির্যাতিতার মাকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে।

পুলিশ কেন নির্যাতিতার মা-বাবাকে মারবে?

পূর্বপরিকল্পনামতো শনিবার দুপুর থেকে পার্ক স্ট্রিটে জমায়েত শুরু করেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। সেখানে পরে যোগ দেন নির্যাতিতার মা-বাবাও। এদিকে জমায়েতে অশান্তি রুখতে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। একসময়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতেই নির্যাতিতার মা জখম হন, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান বিজেপি নেতারা।

যদিও, বিজেপির এই অভিযোগকে ডাহা মিথ্যে বলে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, নির্যাতিতার বাবা-মাকে নিয়ে যেভাবে রাজনীতি ব্যবহার করল বিজেপি।

নির্যাতিতার মা-বাবার উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু যে বিজেপি সিবিআইয়ের মালিক, তাঁদের সঙ্গে যাচ্ছেন নবান্ন অভিযানে! এটা দ্বিচারিতা নয়? রাখির দিন এমন অশান্তি তৈরির নেপথ্যে বিজেপিকেই দায়ী করেন কুণাল ঘোষ।

আরজি করের ডাক্তারি ছাত্রীর উপর নৃশংস নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের এক বছর পার হলেও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বিতর্ক থামেনি। সেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে সরব হয়েছেন কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

তাঁর সাফ বক্তব্য, যদি কলকাতা পুলিশ তদন্ত করত, তাহলে ফাঁসির সাজা হত।

রাজনৈতিক তরজা চলছেই। এদিকে, শনিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হওয়ায় শুরু হয় লাঠিচার্জ। অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের একাধিকজন আহত হয়েছেন পুলিশের মারে।

এদিকে পুলিশের দাবি, তারাও আহত হয়েছেন। পুলিশের বক্তব্য ছিল, একে তো নবান্ন অভিযানের জন্য কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। তার পরেও যদি বিধিনিষেধ অমান্য করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়, কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সেই মতোই শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় শহরে।

About Post Author