সময় কলকাতা ডেস্ক, ৬ ডিসেম্বর : চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আর একজনের দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। ২০২২ সালের গোবিন্দ মণ্ডল খুনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক রায় ঘোষণা জলপাইগুড়ি আদালতের। শুক্রবার দীর্ঘ তিন বছরের বিচারপ্রক্রিয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করলেন জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজ বিপ্লব রায়। উল্লেখ্য, ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়শালবাড়ি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিবাদে খুন হয়েছিলেন গোবিন্দ মণ্ডল। শুনানির শেষে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন নিখিল সরকার, বাসন্তী সরকার, বুদ্ধেশ্বর মণ্ডল, বিশ্বনাথ সরকার ও শম্ভু মণ্ডল। শম্ভু মন্ডলের দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ নেয় আদালত। অন্য চারজনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে।
কি হয়েছিল ২০২২ সালের ১৪ মে? সেদিন আনুমানিক তিনটে নাগাদ অভিযুক্তরা সশস্ত্র অবস্থায় বাঁশ, কোদাল নিয়ে গোবিন্দ মন্ডলের বাড়িতে আক্রমণ চালায়। গোবিন্দ মন্ডলের স্ত্রী ও পরিবারের উপরে প্রথমে চলে আক্রমণ। স্ত্রীকে বাঁচাতে এসে গুরুতর জখম হন গোবিন্দ মণ্ডল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার চার্জশিটে প্রথমে ৯ জনের নাম ওঠে। পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে যুক্ত হয় আরও তিনজনের নাম। ২০ জন সাক্ষ্য দেয় ও তাদের শুনানির ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সরাসরি দোষ প্রমাণিত হয় অভিযুক্তদের। মূল অভিযুক্ত হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয় পাঁচ জন। নিখিল সরকার, বুদ্ধেশ্বর মণ্ডল কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বুদ্ধেশ্বর মন্ডল,বিশ্বনাথ সরকারকেও খুনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শম্ভু মন্ডলের দোষ ও প্রমাণিত হয়। শনিবার আদালতে সাজা ঘোষণা করার পরে, অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি প্রসেনজিৎ দেব বলেন, “ দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এদিনের রায় গোবিন্দ মণ্ডলের পরিবারের প্রাপ্য ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”


More Stories
বারাসাত হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা রোগিনীকে চড় মারার অভিযোগ নার্সের বিরুদ্ধে
মরিচা ঝিল, বর্তির বিল : প্রশাসনিক উদ্যোগে পর্যটন শিল্পে আমডাঙার স্বপ্নপূরণ
গাঁজাচাষ রুখতে অলআউট অ্যাটাকে ময়নাগুড়ির পুলিশ