Home » Mohun Bagan vs Mumbai City FC: দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও পুরনো রোগে আটকে গেল মোহনবাগান

Mohun Bagan vs Mumbai City FC: দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও পুরনো রোগে আটকে গেল মোহনবাগান

স্পোর্টস ডেস্ক, সময় কলকাতা, ১৪ অগস্ট: মোহনবাগানের মুঠো থেকে ফস্কে গেল তিন পয়েন্ট। একেই বলে রুদ্ধশ্বাস ফুটবল। যেখানে রেফারি শেষ বাঁশি না বাজানো পর্যন্ত খেলার চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয় না। তার আরও একটা বড় উদাহরন হয়ে থাকল শুক্রবারের খেলাটি। নির্ধারিত সময় শেষ হতে বাকি কয়েক সেকেন্ড। তখনই সবুজ মেরুনের গোলে বল জড়িয়ে দিল মুম্বই। দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ঘরের মাঠে ড্র করল মোলিনার দল। খেলা শেষ হল ২-২ গোলে।

প্রথমার্ধে খেলা শুরুর চতুর্থ মিনিটেই হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল সবুজ মেরুন সমর্থকদের। মুম্বইয়ের বিপিন সিংহের পায়ে লেগে মোহনবাগানের জালে ঢুকে গিয়েছিল বল। রেফারির অফসাইড সিদ্ধান্তে গোলটি বাতিল হওয়ায় শান্তির নিঃস্বাস ফেলে মোহনবাগান। তারপর অষ্টম মিনিটেই বাঁ দিক থেকে দৌড়ে আসা লিস্টন কোলাসোর জোরালো গোলমুখী শট তিরির গায়ে লেগে ঢুকে যায় মুম্বইয়ের গোলে। খেলায় মোহনবাগান এগিয়ে গেলে চাপ অনুভব করছিল মুম্বই। তাদের একেরপর এক মিস পাস দেখেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। এরপর আবার ঊনত্রিশ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগানের আলবার্তো। স্টুয়ার্টের হেডে ভাসিয়ে দেওয়া বল মুম্বইয়ের গোলে রাখেন তিনি। দুই গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় শুভাশিসরা। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে তখন উচ্ছ্বাসের জোয়ার মোহনবাগান সমর্থকদের। এখান থেকে মুম্বই প্রত্যাবর্তন করতে পারবে না, ধরেই নিয়েছিল তারা।

আরও পড়ুন   OPTICAL ILLUSION: জিনিয়াসদের মত দৃষ্টিশক্তি থাকলে নিচের ছবি দুটি থেকে ৪৫ সেকেন্ডে ৩ টি পার্থক্য খুঁজে বের করুন

দ্বিতীয়ার্ধে খেলার শুরুতেই যে জ্বলে উঠেছিল মুম্বই তা নয়। তবে দুই গোল হজম করেও মানসিকভাবে তারা হারেনি তখনও। বিরতির পরেও মোহনবাগানের পায়েই বলের দখল ছিল। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় আক্রমণ বাড়িয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। বিপিন এবং ছাংতে মোহনবাগান রক্ষণকে ব্যস্ত রেখেছিল। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি পিটার ক্র্যাটকির দল। সত্তর মিনিটে প্রথম গোল শোধ করেন তিরি। গোলের স্বাদ পেয়ে এইবার জ্বলে ওঠে মুম্বই। এর পর দলে কয়েকটি পরিবর্তন করেন কোচ মলিনা। কামিংস এবং লিস্টনকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়ায় মোহনবাগান আরও দুর্বল হয়ে যায়। তার পরেও মুম্বইকে সহজে দ্বিতীয় গোল শোধ করতে দিচ্ছিল না মোহনবাগান রক্ষণ। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে সেই রক্ষণ ভেঙে বাঁ দিকে ঘেষে বল নিয়ে যায় রুমার। তাঁর নিখুঁত পাশে বল পান ক্রুমা। সময় নষ্ট না করেই চলতি বলে শট করেন তিনি। বল জড়িয়ে যায় মোহনবাগানের জালে। দ্বিতীয় গোল করে শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় মুম্বই। খেলা শেষ হয় অমীমাংসিত অবস্থায়।

শুক্রবার দুই দলই দুটো করে গোল হজম করেছে। মুম্বই প্রথমার্ধে দু’গোল খেয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোলের ধাক্কা সহ্য করতে হয়েছে মোহনবাগানকেও। দুটি দলই যথেষ্ঠ পরিপক্ক। তা সত্ত্বেও এদিন উভয় দলের রক্ষণ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রতিটি গোলের পিছনের দুর্বল রক্ষণ দায়ী। গতবার আইএসএলের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই বনাম মোহনবাগান। তাই নিয়মানুযায়ী এবারের মরসুম উদ্বোধন হয়েছে এই দুই দলের খেলা দিয়ে। এদিন উভয় দলের রক্ষণে যে গলদ দেখা গিয়েছে তা দ্রুত মেরামত না হলে সমস্যায় পড়তে পারে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট।

#MohunBagan 

#MumbaiCityFC 

#BipinSingh 

 #ListonColasso 

#ISL

About Post Author