Home » ওড়িশার বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনা মামলায় ৩ রেল আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের

ওড়িশার বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনা মামলায় ৩ রেল আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের

সময় কলকাতা ডেস্ক, ২ সেপ্টেম্বর: গত জুন মাসের শুরুতেই ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় আঁতকে উঠেছিল গোটা দেশ। চারিদিকে শুধুই মৃত্যুমিছিল, হাহাকার। দুর্ঘটনার সেই রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সাধারণ মানুষ। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। এবার এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা মামলায় তিনজন রেল আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। শনিবার ভুবনেশ্বর বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এর আগে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে গত ৭ জুলাই সেকশন ইঞ্জিনিয়ার আমির খান, অরুণ কুমার মোহান্ত এবং টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ করেছে সিবিআই।

এর আগে ওড়িশার বাহানাগা স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ৪ জন পদস্থ কর্তাকে বদলি করা হয়েছিল। তারপরই বদলি করা হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম কে। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, বাহানাগা স্টেশনে রেল দুর্ঘটনায় অনেক রেল আধিকারিককেরই গাফিলতি ছিল। কিন্তু তাঁদের সেই গাফিলতির জন্য কড়া শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র বদলি করে ওইসমস্ত রেল আধিকারিকদের শাস্তিকে লঘু করে দিচ্ছে রেল দফতর। এ ব্যাপারে রেল দফতরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। এই দুর্ঘটনায় বহু মৃত মানুষের পরিবার বিচার চাইছে।

উল্লেখ্য,গত ২ জুন সন্ধ্যায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা সাক্ষী থেকেছিল গোটা দেশ। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। একসঙ্গে করমন্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া এবং একটি মালগাড়ি দুর্ঘটনা কবলে পরে। পাশাপাশি ধাক্কা লাগে তিনটি ট্রেনের।

আরও পড়ুন   মুম্বইয়ের পর এবার ভোপালে বসতে চলছে ইন্ডিয়া জোটের মেগা বৈঠক

করমন্ডলের পাশে ছিল মালগাড়ি। ওই ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয় করমন্ডল এক্সপ্রেস। শালিমার-চেন্নাই করমন্ডল এক্সপ্রেসের মোট ১৫ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তার মধ্যে সাতটি কামরা উল্টে গিয়েছিল। আরও চারটি কামরা ছিটকে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। একই সঙ্গে পাশের লাইন থেকে আসা যশবন্তপুর- হাওড়া এক্সপ্রেস টিরও দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। রেল সূত্রে খবর, ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আহত ১২০০ এরও বেশি মানুষ।

About Post Author