সময় কলকাতা ডেস্ক :কবি সত্যেন্দ্র নাথ দত্ত লিখেছিলেন,”ইলশে গুঁড়ি! ইলশে গুঁড়ি/ইলিশ মাছের ডিম।/ইলশে গুঁড়ি! ইলশে গুঁড়ি/দিনের বেলায় হিম।’বারাসাতের “পদ্মার ইলিশ উৎসবে” দিনের বেলায় হাড় হিম করা কাণ্ডই যেন দেখা গেল । ইলিশ খেতে এসে অনেকেই খেয়েছেন স্রেফ ঠেলা আর গুঁতো।ধাক্কাধাক্কি, চুলোচুলি কিছুই বাদ যায় নি। প্রবেশদক্ষিনা দিয়েও চেটেপুটে খাওয়ার বদলে বঞ্চিত ভোজনরসিকদের অনেকেই ফিরলেন বিফলমনোরথ হয়ে।
রবিবার বারাসাতের এক তৃণমূল কাউন্সিলারের উদ্যোগে “চেটেপুটে ” পদ্মার ইলিশ উৎসবের আয়োজন হয়। নামেমাত্র দর্শনীতে সপ্তপদী আয়োজনে অংশ নিতে ভিড় জমান রসনাপ্ৰিয় বাঙালি। মন্ত্রী,নেতা, বিধায়ক, পুরপিতা সব্বাই হাজিরছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।তবে উৎসবের আনন্দঘন পরিবেশ বেশিক্ষন বজায় থাকে নি।
ইলিশ উৎসব বেলা বাড়তেই হট্টগোলের চেহারা নেয় । শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড।অভিযোগ,তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন পদ্মার ইলিশ চেখে দেখতে উপস্থিত মানুষেরা। সাত রকমের ইলিশের মেনু চেখে দেখতে গিয়ে নাকাল হওয়া মানুষদের সঙ্গে উদ্যোক্তার দলবলের কার্যত খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বারাসাত অ্যাসোসিয়েসনের মাঠ। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ৫০০ টাকার টিকিটে ইলিশের সাত রকম মেনুর আয়োজন করা হয়েছিল।অভিযোগ,যারা আগেভাগে ঢুকেছিলেন তাদের সময় মত মাছের সবরকম পদ পরিবেশন করা হচ্ছিল না। যারা একবার ঢুকছিলেন তাদের বেরোতে দেরি হওয়ায় বাইরে অপেক্ষায় থাকা টিকিট হাতে মানুষের লাইন ক্রমাগত দীর্ঘই হতে থাকে। অন্যদিকে,সময়মত ইলিশ না পেয়ে ভোজনে উৎসুক মানুষদের মধ্যে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। অভিযোগ ওঠে যে,যত টিকিট দেওয়া হয়েছিল সেই তুলনায় পর্যাপ্ত আয়োজন করা হয়নি ইলিশ মাছের। ফলে বিশৃঙ্খলা বাড়তেই থাকে। শেষে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি। ঝামেলা থামাতে বারাসাত থানার পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সব মিলিয়ে বারাসাতের ইলিশ উৎসব হয়ে ওঠে যত না ঘটনা বহুল তার চেয়েও বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী।।
আসলে ইলিশ বাবা ফিনিশ করলো বারাসাতের সম্মান