সময় কলকাতা, সানি রায়, জলপাইগুড়ি: রাজ্য সরকারের বদান্যতায় মাথার জুটেছে ছাদ। বাংলার বাড়ি-প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন ধূপগুড়ির পূর্ব মাগুরমারীর ষাটোর্ধ বৃদ্ধা রেনুবালা সরকার। এতদিন টিনের ভাঙাচোরা ঘরেই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। নতুন ঘর পেয়ে দুঃস্থ প্রবীণা বেজায় খুশি। তবে সরকারি প্রকল্পে ঘর পাওয়ায় কেউ যাতে তাঁদের মতো পরিবারগুলি থেকে টাকা আদায় করতে না পারে, এজন্য বুধবার ঘর প্রাপক উপভোক্তাদের মিষ্টি মুখ করার পাশাপাশি সতর্ক করল তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গেলেন তৃণমূল নেতারা। শুধু মিষ্টি মুখ নয় প্রাপকদের বাড়ি গিয়ে তাদের জানিয়ে দিলেন,কেউ টাকা আদায় করতে এলে তাঁরা যেন নেতাদের বিষয়টি জানান। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে নেতাদেরও।
২০১৭-১৮ সাল নাগাদ সরকারি প্রকল্পে ঘরের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন এই প্রবীণা। অবশেষে রাজ্য সরকার সেই আশা পূরণ করেছে। রেনুদেবীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা। টাকা ঢুকতেই ঘরের তৈরির তোড়জোড় শুরু করেছেন তিনি। বুধবার ধূপগুড়ির তৃণমূলের তরফে রেনুদেবীর মতো পরিবারগুলিকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। পাশাপাশি ঘর নিয়ে যাতে ২৬ এর নির্বাচনে আগে বিরূপ প্রভাব না পড়ে এজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়।
তৃণমূলের দাবি, অতীতে বেশ কিছু ব্যক্তি ঘর প্রাপকদের কাছে টাকার দাবি করেছিল। যাতে দলের দুর্নাম হয়েছে। তাই এবছর এই নিয়ে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এদিকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পেয়ে খুশি অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, এতদিন ঘরের টাকা বঞ্চিত করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের সৌজন্য ঘর পেয়েছি।
ধূপগুড়ি ব্লকে প্রায় ৬ হাজার মতো পরিবার ঘর পেয়েছে। তৃণমূল কর্মী গোবিন্দ রায়ের বক্তব্য “এতদিন কেন্দ্রীয় সরকার দুঃস্থদের বঞ্চিত করে রেখেছে। সেই মানুষগুলির পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার। এদিন আমরা দলের তরফে তাদের মিষ্টি মুখ করাই”।তৃণমূল কংগ্রেসের ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক সভাপতি মলয় রায় জানান “মুখ্যমন্ত্রীর বাংলার বাড়ি প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য তৃণমূল কর্মীরা মাঠে নেমেছেন। অনেকেই ঘরের টাকায় ঘর করেন না, সেই দিকেও লক্ষ্য করা হবে। সেই সঙ্গে ঘর প্রাপকদের কাছে কেউ টাকার দাবি করলে তারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।


More Stories
কথায় আছে, নাম দিয়ে যায় চেনা ! দিদি ‘মমতা’ ভাই ‘নরেন্দ্র মোদি’
পানিহাটির পর কোচবিহার,SIR আতঙ্কে রাজ্যে আরও একজনের আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ
পানিহাটি থেকে স্লোগান তুললেন অভিষেক, ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর’