সময় কলকাতা ডেস্ক:- এই নিয়ে আলিপুরদুয়ারে ১০ টি চা বাগানে ঝুলল তালা। বছরের শুরুতেই কাজহারা ১৩০০ চা শ্রমিক। উত্তরবঙ্গে ক্রমশ এক এক করে চা বাগানে ঝুলছে তালা। বুধবার রাতে ওই চা বাগানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। খোঁজ নেই মালিকের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিশেহারা ১৩০০ পরিবার।
কাজ হারানো চা শ্রমিকদের সংগঠনের দাবি, “গাছে নতুন পাতা আসতে শুরু করলে আবার মালিক ফিরে আসবে। তখন শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে বাধ্য করবে কাজ করতে। আমরা আলিপুরদুয়ার – কোচবিহার চা বাগান মজদুর ইউনিয়ন দাবি করছি, “অবিলম্বে সরকারকে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে অবিলম্বে মালিকপক্ষকে বাগান খুলতে বাধ্য করা হোক।
কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানের ম্যানেজমেন্ট গতকাল রাতে বাগান বন্ধ করার নোটিশ ঝুলিয়ে বাগান ছেড়ে চলে যায়। সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন ফ্যাক্টরির দরজা বন্ধ। বাগানে সাসপেনশনের নোটিস ঝুলছে। যা দেখে মাথায় হাত পড়ে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।
একদিকে পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ নেই। অন্যদিকে একের পর এক চা বাগান বন্ধ হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারে মোট চা বাগানের সংখ্যা ৬৯টি। এর মধ্যে এই নিয়ে ১০টি চা বাগানে তালা ঝুলেছে। এর আগে লঙ্কাপাড়া চা বাগানের ২ হাজার ১৩২ জন, রায়মাটাং চা বাগানের ১ হাজার ৬২৪ জন, দলসিংপাড়া ১ হাজার ৭৪৮ জন, দলমোর বাগানের ১ হাজার ৬৫ জন, কালচিনির ১ হাজার ৯১৬ জন, রামঝোরার ৯৬২ জন, ঢেকলাপাড়ার ৬০৪ জন, তোর্সার ৬৪৭ জন এবং মহুয়ার ৮১ জন কাজ হারিয়েছিলেন। এবার সেই তালিকায় জুড়ল আরও ১৩০০ জনের নাম। শ্রমিক পরিবাগুলি হতাশায় দিশেহারা


More Stories
ট্রাম্পের ট্যারিফে দুর্বল হবে বিশ্ব অর্থনীতি, ঊর্ধ্বমুখী হবে মুদ্রাস্ফীতি: আইএমএফ
ফের কমলো রেপো রেট, ০.২৫% কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
শেয়ার বাজারে ট্রাম্প-আতঙ্ক! অর্থবর্ষের প্রথম দিনেই বাজারে বিরাট ধস, মার্কিন শুল্ক নীতির জেরে আইটি স্টকেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে