Home » ‘অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না’, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে ভারতের পাশে কোয়াড

‘অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না’, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে ভারতের পাশে কোয়াড

সময় কলকাতা ডেস্ক:- পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন কোয়াড গ্রুপের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলা নিয়ে যৌথ বিবৃতি জারি করেন তাঁরা। এই হত্যালীলার নেপথ্যে থাকা অভিযুক্তদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে কোয়াড। মঙ্গলবার ওয়াশিং কোয়াড সদস্যভুক্ত চার দেশ অর্থাৎ ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হাতে হাত রেখে লড়ার বার্তা দিলেন চার সদস্য দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে হাতে হাত মেলালো চার দেশ। মঙ্গলবার বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি জারি করেছে কোয়াড সদস্যভুক্ত দেশগুলি।

যেখানে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ-সহ যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন তাঁরা। এই ঘৃণ্য সন্ত্রাসে যুক্ত অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী ও যারা এই সন্ত্রাসে আর্থিক মদত যুগিয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।

শুধু তাই নয়, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন কোয়াড নেতারা।

এই গোষ্ঠীর তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের সকল সদস্য দেশ যেন পহেলগাঁও সন্ত্রাসে যুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পূর্ণ সহযোগিতা করে।

শুধু তাই নয়, কোয়াড বৈঠক থেকে নাম না করে চিনকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিক নির্দেশ তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে কোয়াড এই মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে এজেন্ডা নিয়ে কাজ করবে তা হল, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্র নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, এই অঞ্চলের দেশগুলির আর্থিক সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দুর্যোগ বা জরুরি পরিস্থিতিতে একে অপরকে সাহায্য এবং প্রযুক্তিগতভাবে দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা।

কোয়াড বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বৈঠকের আগে তিনি আবার এক বার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সবর হন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। বিশ্বকে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে শূন্য সহনশীলতার নীতি নিয়ে চলতে হবে। সন্ত্রাসে মদতদাতা ও সন্ত্রাসের শিকারকে একই দৃষ্টিতে দেখা চলবে না। দেশবাসীকে সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করার অধিকার ভারতের আছে। সেই অধিকার ভারত প্রয়োগও করবে। ভারত আশা করে, কোয়াডের অংশীদারেরাও সে কথা বুঝবে।

তার পরেই কোয়াডের তরফে পহেলগাঁও নিয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। আসলে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আস্ফালন দিনে দিনে আরও গুরুতর আকার নিতে শুরু করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতকে রুখতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন জোট।

মাসদুয়েক আগে আফগানিস্তানের সঙ্গেও বৈঠক করে সেদেশে সিপিইসি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন-পাকিস্তান। এবার বাংলাদেশকেও কাছে টানছে বেজিং। ফলে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে সমুদ্রপথের দখল নেওয়া অনেক সহজ হবে তাদের পক্ষে। সেটা হলে সমস্যা বাড়বে আমেরিকারও। সেকথা মাথায় রেখেই এবার ড্রাগনকে রুখতে কোমর বাঁধছে কোয়াড।

About Post Author