SIR নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। বারেবারে তাঁদের বলতে শোনা গিয়েছে, বাংলায় একজন বৈধ নাগরিকের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। আজ দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও একই সুর। একই ভঙ্গিতে একবার নয়, একাধিকবার বললেন, বৈধ নাগরিকের নাম বাদ গেলে ছেড়ে কথা বলা হবে না কমিশনকে। এমনকী, নির্বাচন কমিশনের অফিসও ঘেরাও করবেন তাঁরা।
অভিষেকের অভিযোগ, বিজেপির লক্ষ্য এখন বাংলার মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা। “বিজেপির সহকারী সংগঠন এসআইআর ঘোষণা করেছে ঠিক ছট পুজোর সময়ে! এটা ভোটার তালিকা সংশোধনের নাম করে বাংলাকে হেনস্থা করার ষড়যন্ত্র।” তিনি আরও বলেন, “আগে মানুষ ভোট দিয়ে সরকার বেছে নিত। এখন সরকারই নিজের পছন্দের ভোটার বেছে নিচ্ছে। এই ভোটার তালিকাতেই লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। যদি ত্রুটি থাকে, আগে সংসদ ভেঙে নতুন করে ভোট দিন, তারপর এসআইআর করুন।”
অভিষেকের তীব্র কটাক্ষ— “এটা আর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটা বাংলার প্রতি বিজেপির প্রতিশোধ। আদালতে হেরে, ভোটে হেরে বাংলার মানুষের উপরই রাগ ঝাড়ছে বিজেপি। গতকাল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট দুই গালে থাপ্পর মেরেছে। আমি বারবার বলেছি মানুষের ক্ষমতার আগে কারও ক্ষমতা টেকে না। দিল্লিতে গিয়েছিলাম। তখন টেনে হিঁচড়ে বের করে দিয়েছিল। মহিলাদের ছাড়েনি। একাধিক কেন্দ্রের টাকা বন্ধ। আসলে বাংলা ও বাঙলিকে ভাতে মারার চেষ্টা।
সরাসরি আক্রমণ শানান জ্ঞানেশ কুমারকে। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি সাংসদ হিসাবে এদের ওয়ার্নিং দেব, আজ নয় কাল সরকার বদলাবে। জ্ঞানেশবাবু দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বিজেপি থাকবে না, দেশের সংবিধান থাকবে। অমিত শাহ থাকবে না। তখন যেখানে থাকবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব। জবাবদিহি মানুষের কাছে দিতে হবে। আপনার অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে। সময় মতো সব মানুষের কাছে উপস্থাপিত করব।”


More Stories
কথায় আছে, নাম দিয়ে যায় চেনা ! দিদি ‘মমতা’ ভাই ‘নরেন্দ্র মোদি’
পানিহাটির পর কোচবিহার,SIR আতঙ্কে রাজ্যে আরও একজনের আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ
পানিহাটি থেকে স্লোগান তুললেন অভিষেক, ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর’