প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক কোনও সম্পর্ক রয়েছে? এর উত্তরে সকলেই বলবেন ‘না।’ কিন্তু জানেন কি আমাদের রাজ্যে এমন দুই ভোটার রয়েছেন, যাদের নাম নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা। তবে তিনি বন্দ্যোপাধ্যায় নন। যারা দুজন সম্পর্কে দিদি-ভাই। তাঁদের দুজনের নাম নিয়েই এখন আলোচনা গোটা রাজ্যে। এতদিন তো আহমেদাবাদের নিশান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ভোট দিতে যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার দুবরাজপুরে ভোট দিতে দেখা যাবে নরেন্দ্র মোদিকে ! কী শুনে চমকে যাচ্ছেন? শুধু আপনি নন, দুবরাজপুরে ভোটার তালিকায় নরেন্দ্র মোদির নাম রয়েছে শুনে অনেকেই চমকে যাচ্ছেন। দুবরাজপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাছারিপাড়ায় গেলে সবাই একবারে দেখিয়ে দেবে নরেন্দ্র মোদির বাড়ি।
– যদিও তাঁদের আদি বাড়ি রাজস্থানে। এই নরেন্দ্র মোদি যে এখন দুবরাজপুরের বাসিন্দা। কথাও বলেন বাংলায়। ভোট দেন দুবরাজপুরের শিশু বিদ্যাপীঠ স্কুলে। তবে এই মোদি যে প্রধানমন্ত্রী নয়, তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। কয়েক পুরুষ ধরে এই বঙ্গে বাস পেশায় ব্যবসায়ী নরেন্দ্রর। তবে এতদিন বেশ চুপচাপ নিজের মতোই ছিলেন। ব্যবসা-সংসার সব নিয়ে কাটত দিন। তবে এই প্রথম বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের নজরে আসায় হইচই পড়ল। দুবরাজপুরের এই নরেন্দ্র মোদি জানান, তাঁরা এক ভাই ও তিন বোন। তাঁর বড় দিদির নাম আবার মমতা। তবে বন্দ্যোপাধ্যায় নন, হেসে বলেন নরেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, রাজস্থান থেকে নরেন্দ্র মোদির পূর্বপুরুষরা চলে এসেছিলেন এখানে। তারপর থেকে দুবরাজপুর শহরের পাকাপাকি বাসিন্দা। বাংলাটাও বলেন বেশ। বহুদিন ধরেই ভোট দিচ্ছেন দুবরাজপুরের শিশু বিদ্যাপীঠ স্কুলের বুথে।
এতদিন তেমন করে সামনে আসেননি। কারণ এলাকায় মুন্না নামেই তাঁর পরিচিতি। বাসিন্দারা তো বটেই, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও মুন্না নামেই ডাকেন তাঁকে। কিন্তু কখনও সখনও তো বলতেই হয় নিজের শুভনাম। তখন !
দুবরাজপুরের এই ঘটনায় মনে করিয়ে দিচ্ছে বিহারের ডগেশবাবু, ট্রাক্টরবাবুর কথা। সেখানে এসআইআর পর্ব চলাকালীনই কিছু শংসাপত্র প্রকাশ্যে এসেছিল যা দেখে চক্ষুচড়ক গাছ হয়েছিল বহু মানুষের। বিহারে একটি কুকুরের নামে সরকারি বাসিন্দা শংসাপত্র জারি হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, শংসাপত্রে ওই কুকুরের অভিভাবক হিসেবে ছিল, ‘কুত্তা বাবু’ ও ‘কুত্তিয়া দেবী’। এমনকী, ডগেশ বাবু নামে একটি নতুন আবেদন জমা পড়েছিল। আবেদন জমা পড়েছিল রাম ও সীতার নামেও। রামের আবেদনপত্রে পিতার নাম দেওয়া হয়েছে দশরথ, ঠিকানা অযোধ্যা। আবেদন জমা পড়েছিল একটি ট্রাক্টরের নামেও। এসবের থেকেও বেশি নজর কেড়েছিল আরও একটি নাম। বিহারে বাসস্থানের প্রমাণপত্র চেয়ে আবেদন করেছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। আবেদনপত্রে ছিল তাঁরই নাম এবং ছবি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছিল জেলা প্রশাসন। সেসব রেষ কাটতে না কাটতেই এবার বীরভূমের দুবরাজপুরে ভোটার তালিকায় নাম উঠল নরেন্দ্র মোদির। উঠল হাসির রোল।


More Stories
পানিহাটির পর কোচবিহার,SIR আতঙ্কে রাজ্যে আরও একজনের আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ
পানিহাটি থেকে স্লোগান তুললেন অভিষেক, ‘জাস্টিস ফর প্রদীপ কর’
SIR ইস্যুতে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা অভিষেকের