স্পোর্টস ডেস্ক, সময় কলকাতা, ৯ মে: ফুটবলে প্রত্যাবর্তন শব্দটা বোধহয় রিয়াল মাদ্রিদ দিয়েই প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। সবাই যখন ধরেই নিয়েছিল ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে জার্মান জায়ান্টসরা। ঠিক তখনই ঘরের মাঠে আরও একটি অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে আনে কার্লো আনসেলোত্তির ছেলেরা। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বায়ার্ন মিউনিখের প্রথম পর্বের ম্যাচ ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল। ফলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি পর্বের ম্যাচটি দুই দলের কাছেই নক আউটের রুপ নেয়।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ডমিনেট করতে শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। বায়ার্নের রক্ষন ভাগে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। কিন্তু আক্রমন করেও গোলের দেখা মেলেনি। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভিনিসিয়াস জুনিয়র বনাম ম্যানুয়াল নয়ারের দ্বৈরথ ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিনিসিয়াস জুনিয়র এদিন বার বার হানা দিয়েছেন বায়ার্নের গোল বক্সের সামনে কিন্তু গোলের দেখা পাননি। ১৩ মিনিটের মাথায় ভিনির শর্ট গোল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর ফিরতি বলে জোরালো শর্ট নেন রদ্রিগো সিলভা কিন্তু সেটিও প্রতিহত করেন কুশলি নয়ার। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি আরোও দুইবার ৪০ ও ৫৯ মিনিটের মাথায় নিশ্চিত গোল খাওয়ার হাত থেকে বায়ার্ন মিউনিখকে বাচান । যেন বায়ার্নের গোলবারের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই অভিজ্ঞ জার্মান কিপার। বায়ার্ন মিউনিখও যে মাঠে একদন নিশ্চুপ ছিল তেমনটা নয়।হ্যারি কেন,জামাল মুসিওয়ালারাও মাদ্রিদের ডি বক্সে আক্রমণ সানাতে থাকেন। কিন্তু খুব জটিল পরিক্ষায় ফেলতে পারেননি মাদ্রিদ কিপার আন্দ্রে লুনিনকে। প্রথমার্ধ গোল শূন্য শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমাত্মক ছিল দুই দলই । ভিনিসিয়াস,রদ্রিগো ও বেলিংহামরা গোল না পেলেও ৬৮ মিনিটে গোলের দেখা পেয়ে যান বায়ার্ন মিউনিখের আলফান্সো দেভিস।কেনের লম্বা বাড়ানো বল চমৎকার ভাবে নিয়ন্ত্রন করে মাদ্রিদের বক্সে ঢুঁকে দুরের কোনা দিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। এরপর একটা সময় ধরেই নেওয়া হয়েছিল রিয়ায়লের যাত্রা বোধয় এখানেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু দলটি যেহেতু রিয়াল মাদ্রিদ তাই তাঁদের সমর্থকরা যে আশার আলো দেখতে পারেন একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Joselu sends Real Madrid to Wembley! ????#UCLfinal pic.twitter.com/oTZ5lDpvbI
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) May 8, 2024
সমর্থকদেরও খালি হাতে ফেরাননি সাদা কালো বাহিনী। রদ্রিগো,বেলিঙ্গহামদের পিছনে ফেলে এদিন মাদ্রিদের ত্রাতা হয়ে আবির্ভাব হন সুপার সাব হোসেলু। ৮১ মিনিটের মাথায় তিনি ফেদে ভালভারদের বদলি হিসাবে নামেন। নামার ৭ মিনিটের মাথায় অর্থাৎ ৮৮ মিনিটে রিয়ালের হয়ে কাঙ্খিত গোলটি করে রিয়ালকে সমতায় ফেরা্ন হোসেলু।এর আগে বার বার বায়ার্নকে রক্ষা করলেও এবার ব্যর্থ হন নয়ার। ভিনির শর্ট নয়ারের হাত ফসকে চলে যায় হসেলুর পায়ে। সুযোগ সন্ধানী হোসেলু জালে বল জড়াতে ভোলেননি। রিয়ালের হয়ে পরের গোলটিও আসে হোসেলুর পা থেকেই। ৯১ মিনিটে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন ৩৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ফুটবলার। যদিও গোলটি আসে কিছুটা নাটকীয় ভাবে। নাচোর থেকে বল পেয়ে রুডিগার সেটি বাড়ান হোসেলুর দিকে। হোসেলু আবারও গোলে বল জড়িয়ে উল্লাশ করতে থাকেন। কিন্তু তখনি রেফারির অফ সাইড পতাকা জল ঢেলে ভেস্তে দেয় হোসেলু সহ রিয়াল সমর্থকদের উল্লাশ। যদিও এই উল্লাশ পুনরায় ফিরে আসে ভারের সাহাজ্যে রেফারীর অফ সাইড বাতিলের সিদ্ধান্তে। ফলে ২-১ ব্যাবধানে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ।
More Stories
দক্ষিণ আফ্রিকা লিগেও সৌরভ জোর টক্কর দিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দলকে
পুজোর আগেই সিএবি সভাপতি পদে সৌরভ, কমিটিতে থাকছেন কারা?
আমিরশাহিকে ধরাশায়ী করে এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু ভারতের