ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল নেতাদের বি এল ও করা নিয়ে সরব হলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। মঙ্গলবার জগদ্দলের মজদুর ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বিএলও-দের ছবি তুলে ধরেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা বিজেশ প্রসাদ, তৃণমূল নেত্রী রাজলক্ষ্মী সাউ, সিউজি সাউয়ের মতো অনেককেই ভাটপাড়া বিধানসভায় বি এল ও করা হয়েছে। তাছাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্কুলের নন-টিচিং স্টাফদেরও বি এল ও করা হয়েছে। যা নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইনের বাইরে। এদিন তিনি ভুয়ো ভোটারের নথি প্রকাশ্যে আনেন।
প্রাক্তন সাংসদ দাবি করেছেন, ভাটপাড়ায় ইতিমধ্যে ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা ৯৩৭৭। যারা মারা গিয়েছেন। যারা অন্যত্র থাকেন। যাদের নাম একাধিক ভোটার তালিকায়। তিনি জানান, বি এল ও বদল-সহ ভুয়ো ভোটার বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে জাননো হয়েছে। তাঁর দাবি, ভুয়ো ভোটার বাদ গেলে, এসপিও চেঞ্জ হলে বাংলায় ৫০ টি আসনের নীচে নেমে যাবে।
এদিকে বালি পাচার মামলায় প্রথমবার তদন্তে নেমেছে ইডি। বেহালা, ঝাড়গ্রাম-সহ রাজ্যের ২২ জায়গায় দাপিয়ে বেরাল ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলে তল্লাশি অভিযান। আর তাতেই চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি – ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তে একাধিক প্রভাবশালী নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। এবার বালি পাচারের জাল ঘেঁটে কি তেমন কোনও নাম উঠে আসবে, তুঙ্গে জল্পনা।
রাজ্য সরকারের অনুমোদিত বালি খাদান নিয়ে বিতর্ক। সরকারি খাতায় যে খাদান থেকে রাজস্ব আসার কথা, সেখান থেকেই অতিরিক্ত বালি তুলে পাচারের অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ। পুলিশ শুধুমাত্র এফআইআর দায়ের করে দায় সেরেছে বলে খবর। এবার সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই সরাসরি তদন্তে নেমেছে ইডি। সোমবার সকালেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা।
মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন শিরোমণি ৫ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত যমুনাবালিতে ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তিনটি গাড়িতে করে সেখানে অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ইডি-র আরও একটি দল যমুনাবালীর বাড়িতে পৌঁছোয়। তখনই অনুমান করা হচ্ছিল, নথিপত্রে কোন গোলযোগ পাওয়া গিয়েছে। কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এর পর, প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বেরোন আধিকারিকেরা। তাঁদের সঙ্গে দু’টি ব্যাগ ছিল। জানা যায়, ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নগদ ৬৫ লক্ষ টাকা, মোবাইল, নানা জরুরি নথি এবং মাইনিং সংক্রান্ত কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে আর এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেও প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
More Stories
ভোটার কার্ডও গণ্য করা উচিত, নেপাল নিয়েও বার্তা দিলেন মমতা
পূর্ব পুরুষ পেয়েছিলেন মায়ের স্বপ্নাদেশ , ৩০০ বছর ধরে ঐতিহ্য বহন করে চলছে বারুইপুরের পাল বাড়ি
বালি পাচার কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি ইডির, চাপে তৃণমূল!