বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ! ভেসে গিয়েছে একাধিক এলাকা। আতঙ্কিত স্থানীয়রা। সুষ্ঠু ভাবে উদ্ধারকার্য এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন। এসবের মাঝে কেন দুর্গা কার্নিভাল বাতিল করা হয়নি। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল বিরোধীরা। এবার তাদের পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে রবিবার কলকাতায় কেন দুর্গাপুজোর কার্নিভালের অনুষ্ঠান করা হল, কেন ওই দিনই উত্তরবঙ্গ সফরে না এসে মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিরোধীরা হাজারও কটাক্ষ ছু়ড়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় বসে বিরোধীদের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, রাজনীতি করেছে বিরোধীরা। কার্নিভাল বাংলার গর্ব। উপস্থিত ছিলেন বিদেশিরা। শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা সম্ভব নয়। তাছাড়া তিনি গেলে উদ্ধারকার্যে প্রভাব পড়ত। পুলিশ ব্যস্ত হয়ে পড়ত তাঁকে নিয়ে। যা মোটেও কাম্য নয়। কারণ দুর্যোগের সময় প্রধান কাজ দুর্গতের পাশে দাঁড়ানো।
গত রবিবার রেড রোডে ছিল দুর্গা কার্নিভাল। শনিবার রাতভর প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ। রবিবার সকাল থেকে একের পর এক খারাপ খবর আসতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সোমবার তিনি উত্তরবঙ্গে যাবেন। তারপরই বিরোধীরা প্রশ্ন করতে থাকেন, কেন বাতিল করা হল না কার্নিভাল? দু’দিন উত্তরবঙ্গে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই রাজনীতির জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপিকে নিশানা করেছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাকুম্ভের দুর্ঘটনা ও বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিভিন্ন দুর্যোগে কেন্দ্র এক কথা বলছে ও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এক কথা। পাল্টা প্রশ্ন করেন, মহাকুম্ভের দুর্ঘটনা কি ডিজাস্টার ঘোষণা করা হয়েছে?
জেলাগুলির প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তখনই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। সেই কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, “৪ তারিখ ভোর ৫টায় ডিজি এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। স্থানীয় স্বাস্থ্য ও জেলা আধিকারিকেরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলেন। একটা দুর্যোগ ঘটে গেলে কাজ শুরুর জন্য অন্তত ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয়।“
এর পরে নাম না করে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের প্রচুর গাড়ি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “প্রচুর বাড়ি, রাস্তা ভেঙেছে। অনেক জায়গায় সেতুও ভেঙেছে। ভিভিআইপিরা ৪০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে যাতায়াত করেন। এত গাড়ির চাপে ভাঙছে গ্রামীণ রাস্তা।
বরাবরই রাজনৈতিক সৌজন্যের উদাহরণ তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারই আরেকটি ছবি দেখা গেল মঙ্গলবার। এ দিন দুধিয়ায় বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পরে শিলিগুড়ি ফেরার পথে হঠাৎই এক বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যান মমতা। কারণ, সেখানে ভর্তি রয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
More Stories
পুলিশি অতিতৎপরতায় সংকটনাশিনী কালীপুজোয় কি সংকটে বারাসাতের পুজো সংস্কৃতি ও জনজীবন?
দ্বিতীয় ম্যাচে পরিবর্তন হবে ভারতীয় দলে! কারা যেতে পারেন বাদ?
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পুজো চাঁদের হাঁট, কন্যাকে নিয়ে সামিল অভিষেকও