Home » সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মন এবার কোন রাজনৈতিক দলে?

সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মন এবার কোন রাজনৈতিক দলে?

সানি রায়, সময় কলকাতা, ২৮ অক্টোবর :তাহ’লে কি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখছেন ২০১৮ জাকার্তা এশিয়াডে সোনা জয়ী অ্যাথলেট স্বপ্না বর্মন?  তিনি যা বলেছেন তাতে সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত সুস্পষ্ট, রাজনীতিতে স্বপ্না বর্মনের পদার্পণ যেন সময়ের অপেক্ষা মাত্র । তবে বেশ কয়েকটি শর্ত রেখেছেন তিনি আর তিনি বলছেন ২০২৬ সালে সারপ্রাইজ থাকছে।ঠিক কী শর্ত রেখেছেন ‘সোনার মেয়ে’?আর কী বলছেন তিনি? আর সেই শর্ত পূরণ হলে জল ঠিক কোন দিকে বইবে?

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন ঢিংপাড়ায় নিজের গ্রামের বাড়িতে বসে ২৯ বছর বয়সী রাজবংশী সেলিব্রিটি বলেন, ‘সময় হলেই সবটা জানতে পারবেন। এতটুকু বলতে পারি, ২০২৬-এ সারপ্রাইজ থাকছে।’ কী সেই সারপ্রাইজ? তোমার এবারের হাই জাম্প কোন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন,কোন দলের নাম লেখাতে পারেন স্বপ্না বর্মন?

অনেক কথাই বলেছেন স্বপ্না বর্মন।রাজনীতির ময়দানে তাঁর পা রাখার ব্যাপারে যে কথাবার্তা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বপ্না। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ মহল থেকে আমার কাছে অফার আছে। তবে আমি কিছু শর্ত রেখেছি। যারা সেই শর্ত মানবে, তাদের হয়েই রাজনীতির ময়দানে নামব। প্রার্থী হতেও আপত্তি নেই।’ রাজনীতির ময়দানে নিজের আবির্ভাব ঘটাতে ঠিক কী শর্ত রেখেছেন ‘সোনার মেয়ে’?স্বপ্না বলেন, ‘আমি উত্তরবঙ্গের মেয়ে। ফলে উত্তরের উন্নয়ন আমার ‘পাখির চোখ’। সবার প্রথমে ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়ন চাই। উত্তরবঙ্গে একটিও সিন্থেটিক ট্র্যাক নেই। কেন নেই? মাঠ, ট্র্যাক না থাকলে আরও স্বপ্না বর্মন তৈরি হবে কীভাবে? দ্বিতীয়ত, উত্তরবঙ্গে এইমস চাই। এছাড়াও কর্মসংস্থান ও শিল্প চেয়েছেন তিনি। হেপটাথেলনের সোনার মেয়ে নতুন ট্র্যাক ও নতুন ফিল্ডে পা রাখার আগে খুব সাবধানী। তবুও ঘুরেফিরে  প্রশ্ন সেই একটাই কোন রাজনৈতিক দলে দেখা যাবে স্বপ্না বর্মনকে? বিভিন্ন সমীকরণের আঙ্গিকে আভাস কি মিলছে, কোন দিকে বল গড়াতে চলেছে?

স্বপ্না বর্মন নিজে বলেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু পাশাপাশি তার একটি বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন একটি রাজনৈতিক দলের একজনকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। তার গলায় শ্রদ্ধার সুর। কে সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব?

স্বপ্না বর্মন বলেছেন, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার এগিয়ে এলে হয়তো অ্যাকাডেমির স্বপ্ন পূরণ হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য স্বপ্না বর্মন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কথা যতই বলুন- দামি কাঠ বাড়িতে মজুদ করার অভিযোগে বন দফতরের তাঁর বাড়িতে অভিযানের কারণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভ কি আদৌ প্রশমিত হয়েছে? আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে তিস্তা নদীতে ভেসে যাওয়া কাঠ বাড়িতে মজুত করা নিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে তাঁর সামাজিক সম্মান নিতে ক্ষুন্ন হয়েছিল।  তিনি আজও এনিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের শাসক দলের প্রতি তার মায়া-মমতা খুব বেশি না থাকাই স্বাভাবিক। তাছাড়া জলপাইগুড়ি এবং রাজবংশীদের মধ্যে শাসকবিরোধী ক্ষোভ বেশ কিছুটা হলেও রয়েছে। রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে পরিকাঠামগত উন্নয়নে আগ্রহী কেন্দ্র। তাঁর দেওয়ার শর্ত ও তার ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা মাথায় রাখলে  সে ক্ষেত্রে গৈরিক দলের দিকেই কি স্বপ্না বর্মনের ঝোঁকার প্রবণতা? নাম না উল্লেখ করা তার পছন্দের মানুষও কি নরেন্দ্র মোদি? তাই যদি হয়, স্বপ্না বর্মন যে যে শর্ত আরোপ করেছেন তা মেনে নিয়ে তাকে নিয়ে পথ চলতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তির।

About Post Author