Home » সাসপেন্ড হুমায়ুন কবীরের চ্যালেঞ্জ, কী করবেন তিনি

সাসপেন্ড হুমায়ুন কবীরের চ্যালেঞ্জ, কী করবেন তিনি

Oplus_131072

সময় কলকাতা ডেস্ক, ৪ ডিসেম্বর : হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। “দলবিরোধী কাজের জন্য ” ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিম এই সাসপেনশনের পেছনে  একাধিক কারণ দেখালেও মূল বিষয় ছিল বাবরি মসজিদ বিতর্ক।  তাতে থোড়াই কেয়ার হুমায়ুন কবীরের। উল্টে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি ঘোষণার মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মানসিক প্রস্তুতি তাঁর ছিলই। এখন আলোচ্য সাসপেন্ড হুমায়ুন কবীরের চ্যালেঞ্জ, কী করবেন তিনি? হুমায়ুন কবীর, মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ বিতর্ক, সাসপেনশন প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন মুখী সমীকরণ মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কোন রং নিয়ে আসছে? রাজনীতির রং বদলে দেওয়ার হুমকি যে বারবার দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। ফলে, চর্চা গভীরে যেতে বাধ্য।

আগে দেখে নেওয়া যাক ফিরহাদ হাকিম ঠিক কী বলেছেন!  ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘তিনবার হুমায়ুনকে সতর্ক করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি হঠাৎ করে তিনি ঘোষণা করলেন যে বাবরি মসজিদ তৈরি করবেন। হঠাৎ বাবরি মসজিদ কেন? আমরা আগেই তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। তাই আমাদের দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। ”

কলকাতায় হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দল। হুমায়ুন কবিরের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তৃণমূলের গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিল। প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিগ্রহ করার হুমকি, সংহতি দিবসের দিন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস, তৃণমূল নেতৃত্বকে সরাসরি আক্রমণ, তৃণমূলে না থাকলে তিনি আরও আগ্রাসী হতে পারতেন এমনতর বক্তব্য – সবকিছুই অস্বস্তিতে ফেলছিল তৃণমূলকে। দলীয় নেতৃত্ব তার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছিল ,এবার ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন যে দল তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। সবকিছু জানার পরে, হুমায়ুন কবীর পাল্টা ঘোষণা করেন ২২ তারিখ নতুন দল গড়বেন।

বিষয়টির গভীরে গেলে দেখা যাবে, ইতিপূর্বেই তৃণমূল সহ চারটি রাজনৈতিক দলে ঘুরেফিরে যোগদান করেছেন হুমায়ুন কবীর। এই বছরের মে মাসে এআই মিমের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আসাদুদ্দিন ওয়াইসি সঙ্গে তাঁর সে দলে যোগদানের বিষয়ে একপ্রস্থ কথা হয়েছিল বলেই সূত্রের খবর। এবার হুমায়ুন কবীর বলছেন, নতুন দল গড়ে ১৩৫ টি  বিধানসভা আসনে লড়ার ভাবনাচিন্তা তাঁর। লড়াই হবে তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে, জানিয়েছেন তিনি। তবে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিকভাবে তথ্যভিজ্ঞ  মহলের দাবি, তাঁর নতুন দলের ভাবনা তৃণমূলের ক্ষতি ও বিজেপির লাভ এনে দিতে পারে। কারণ, বিজেপির লক্ষ্যই ছিল তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট কমিয়ে আনা। বিজেপিতে হুমায়ুন কবীর যোগদান না করলেও,হুমায়ুন কবীরের লক্ষ্য ও বিজেপির লক্ষ্য এখানে একই খাতে বইছে। তৃণমূলের ভোট কমিয়ে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে টেনে এনে ধর্মীয়ভাবে রাজনৈতিক মেরুকরণের লক্ষ্যে যে এগোচ্ছেন হুমায়ুন কবীর,তা বলাই বাহুল্য। বাবরি মসজিদ বিতর্ক এই পলিটিকাল গেমের একটি অংশ। বাবরি মসজিদ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সংখ্যালঘু সেন্টিমেন্টের উপরে দাঁড়িয়ে সংখ্যালঘু ভোট কতটা নিজের দিকে টেনে আনতে পারেন হুমায়ুন কবীর সেটাই এখন দেখার। এও দেখার যে,হুমায়ুন কবীর ইস্যুতে বিজেপি কতটা ফায়দা লুঠতে পারে?

 

About Post Author