Home » বাংলাদেশের হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর; ইউনুসকে শুভেচ্ছা বার্তা মমতার

বাংলাদেশের হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর; ইউনুসকে শুভেচ্ছা বার্তা মমতার

সময় কলকাতা ডেস্ক:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোমবার নবান্নে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাই কমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ন’বছরের দীর্ঘ ব্যবধানের পর, কোনও বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ দূতাবাস জানিয়েছে, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক সুদৃঢ় করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপ দূতাবাস আরও জানিয়েছে, অত্যন্ত উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত সৌজন্য বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পক্ষ হতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুস ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা প্রেরণ করার জন্য হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান। এটি ছিল ভারতের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। এই বৈঠক যে নিছক ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

কারণ, এই সাক্ষাৎপর্ব হচ্ছে এমন এক সময়, যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক কাছাড়ি বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতি। সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি এ বিষয়ে চিঠিও পাঠান ১২ জুন। তারপরই হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

সাক্ষাৎ কালে মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে চিরায়ত ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধকেন্দ্রিক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উর্ধ্বে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই সাক্ষাৎ এক নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলেও মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বন্ধন অত্যন্ত গভীর।

তাই, এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবেদনশীল ও সহানুভূতিশীল কূটনীতি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে।

About Post Author