সময় কলকাতা ডেস্ক:- ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন নিয়ে এত আপত্তি কীসের? বিহারে দাঁড়িয়ে একযোগে কংগ্রেস এবং আরজেডিকে নিশানা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তোপ দেগে অমিত শাহের তোপ, ভোটার তালিকায় এই সংশোধন প্রথমবার হচ্ছে না। কংগ্রেসেরই পূর্বপুরুষ জওহরলাল নেহেরু এটা শুরু করেছিলেন।
বিহারের জনসভায় অমিত শাহ দাবি করেন, ভোটার তালিকাকে অনুপ্রবেশকারী মুক্ত করা জরুরি ছিল। লালুপ্রসাদ যাদব বা কংগ্রেস যদি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় তাহলে বিহারের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
শাহের সাফ কথা, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে কোনও সরকার গঠিত হবে না। এরাই বিহারবাসীর চাকরি দখল করে নেয়। গোটা নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় যেভাবে বিরোধীরা আপত্তি জানাচ্ছে, সেটাকে অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নেওয়া হিসাবেই দেখছেন শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, এসআইআর নিয়ে এত প্রশ্ন কেন?
এটা তো আর প্রথমবার হচ্ছে না। নেহরুই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। নিয়মিত এটা হয়। ২০০৩ সালে শেষবার হয়েছিল। অমিত শাহর অভিযোগ, একের পর এক নির্বাচনে হেরে হতাশ রাহুল বারবার দোষ দেন নির্বাচন কমিশনকে। আসলে বিহারে ভোটের হারের অজুহাত আগে থেকেই প্রস্তুত রাখছেন তিনি।
বিহারে ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজন নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। সংসদ ও সংসদের বাইরে তালিকা সংশোধন বাতিলের দাবিতে একজোট হয়ে লড়াই করছে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। যদিও, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির ‘ভোটচুরি’র অভিযোগের জবাবও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কর্ণাটক নিয়ে বিরোধী দলনেতার অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে কড়া মনোভাব দেখিয়েছে কমিশন।
কংগ্রেস সাংসদকে একটি চিঠিতে কমিশন বলেছে, তিনি যদি ভোটারদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় নিয়ে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে থাকেন, তাহলে তিনি যেন তাতে হলফ করে সত্যি বলছি বলে স্বাক্ষর করে দেন এবং অভিযোগের প্রমাণ দাখিল করেন। নইলে বিরোধী নেতা যেন তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন এবং জনতাকে বিভ্রান্ত না করেন। এবার প্রায় একই সুরে আক্রমণে নামে বিজেপিও। পদ্ম শিবিরের বক্তব্য, রাহুল যে সব অভিযোগ করছেন, সেসব ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, রাহুল গান্ধি এবং তাঁর টিম যে গবেষণা করছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এর কোনও অর্থ নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করার চেষ্টা।
রিজিজুর প্রশ্ন, ওরা যখনই হারে তখনই কমিশনকে দোষ দেয়। আসলে সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে।
এদিকে, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যা কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।
যদিও, রাহুল গান্ধির শেষ কথা ছিল, আজ আমরা যা তুলে ধরলাম, তা নিঃসন্দেহ, তথ্যভিত্তিক এবং অস্বীকার করা অসম্ভব। যদি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয়, তবে এই ভোট চুরি বন্ধ করতেই হবে।
কংগ্রেস ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। রাহুল গান্ধির এই অভিযোগ শুধু ২০২৪ সালের নিরিখে নয়, ভবিষ্যতের নির্বাচন এবং দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তোলে।
More Stories
বিদায় আসরানি, চলে গেলেন কিংবদন্তি কৌতুক-অভিনেতা
জম্মু-কাশ্মীরে নাশকতার ছক ভেস্তে দিল সেনা, গুলির লড়াইয়ে শহিদ এক জওয়ান
ট্রাম্প প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে ব্যঙ্গ রাহুল গান্ধির, ভিসা নীতি নিয়ে প্রচ্ছন্ন বার্তা মোদির