সময় কলকাতা ডেস্ক:- মহারাষ্ট্রের রাজনীতির বাইরে সেভাবে কোন প্রভাব নেই উদ্ধব ঠাকরের। তার দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তারও পরিচিতি মহারাষ্ট্রের বাইরে খুব একটা নেই। যেটুকু পরিচিতি তা বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য। সেই সঞ্জয় রাউত ঠিক করে দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী দিনে কবে অবসর নেবেন। বিষয়টি হাস্যকর হলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে সঞ্জয় দাবী করেছেন, আগামী সেপ্টেম্বরেই অবসর নেবেন মোদি। সেই কথা জানাতেই নাকি প্রধানমন্ত্রী আরএসএস ভবনে গিয়েছিলেন।
চলতি বছরেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি!
আরএসএস-এর সদর দপ্তরে মোহন ভাগবতের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাতের ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন উদ্ধব সেনা সাংসদের। তাঁর দাবি, ”গত ১০-১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী একবারের জন্যও আরএসএস-এর দপ্তরে যাননি। হঠাৎ তাঁর এই সফর আসলে মোহন ভাগবতকে টা-টা, বাই-বাই বলার জন্য।”
উল্লেখ্য, রবিবার নাগপুরের রেশমিবাগে আরএসএসের সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। আরএসএসের প্রতিপদ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। দেশের ইতিহাসে নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন RSS দপ্তরে গেলেন। এর আগে ২০০০ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আরএসএসের সদর দপ্তরে যান অটলবিহারী বাজপেয়ী।
সঞ্জয়ের এহেন দাবির পাল্টা মুখ খুলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। তিনি বলেন, “উনি বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে থাকার চেষ্টা করেন। সঞ্জয় যে দাবি করেছেন তাতে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। আগামী আরও কয়েক বছর দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নরেন্দ্র মোদিই সামলাবেন। ২০২৯ সালের নির্বাচনের পর ফের নরেন্দ্র মোদিই হবেন প্রধানমন্ত্রী। ওনার উত্তরাধিকারী খোঁজার কোনও দরকার নেই।”
মূলত দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মোদি বিরোধী শক্তি দিশেহারা। কে কখন নেতা হবেন তাই নিয়েই এই মুহূর্তে বিরোধী শক্তি দ্বিধা বিভক্ত। ইন্ডিয়া ব্লকের কেউ কেউ মনে করেন ব্লকের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আবার আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই নিজেকে নেতা বলে ধরে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ মনে করে কংগ্রেসের হাতেই ব্লকের নেতৃত্ব থাকা উচিত। আসলে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের মধ্যে কেউই সেভাবে মোদির বিরুদ্ধে মুখ হিসেবে নিজেকে সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। সক্রিয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদি যতদিন থাকবেন ততদিন বিরোধী শক্তির কাছে তিনি সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


More Stories
পার্কস্ট্রিট হত্যাকাণ্ড : ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার দুই খুনি
পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক? রিলমেকার খুন স্বামীর হাতে
সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মন এবার কোন রাজনৈতিক দলে?