সময় কলকাতা ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর : পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে খুন করে পালিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নিস্তার মিলল না শক্তিকান্ত বেহরা ও সন্তোষ বেহরার। রাহুল লাল কে খুন করে লালবাজার গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হতে হল তাদের। রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে একটি হোটেলের বক্স খাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাহুলের রক্তাক্ত দেহ। প্রাথমিকভাবে তদন্তে মনে করা হয়েছিল, বহুমূল্য অ্যান্টিক সামগ্রী কেনাবেচা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছিল রাহুলকে। তদন্তে নেমে লালবাজার গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা দ্রুত রহস্যের জাল গুটিয়ে আনেন। ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। ২২ অক্টোবর পার্কস্ট্রিটে হোটেলে ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিল রাহুল ও তার এক সঙ্গী। পরে সঙ্গী আরেক সঙ্গীকে আনে এবং রাহুলকে ছাড়াই তারা চেক আউট করে এবং সেসময় তারা জানিয়েছিল রাহুল আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। ২৪ তারিখ হোটেল থেকে উদ্ধার হয় রাহুলের পচা গলা দেহ।
পুলিশ তদন্তে নেমে বুঝতে পারে, হোটেলের বেডশিট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা হয় রাহুলকে। পরে মদের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা সুনিশ্চিত করা হয় তার। অতঃপর ওড়িশায় পালিয়ে যায় তারা। বেডশিট বা মদের বোতল পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের ময়নাতদন্ত হওয়ার পরে জানা যায়, তার পাকস্থলীতে মিলেছে মদ। পুলিশ তদন্তের আরো গভীরে গিয়ে জানতে পারে, ঘাতকরা ওড়িশার সম্বলপুরের বাসিন্দা। তদন্তকারী আধিকারিকরা থেকে গ্রেপ্তার করেন তাদের। বুধবার ওড়িশায় তাদের আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে এই রাজ্যে নিয়ে আসা হবে। হত্যাকাণ্ডের কারণসহ আর যে দু একটি জট রয়েছে তারও সমাধান দ্রুত হয়ে যাবে বলে পুলিশ মনে করছে।।


More Stories
পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক? রিলমেকার খুন স্বামীর হাতে
SIR বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন বঙ্গ সহ ১২ রাজ্যে জারি করল নির্বাচন কমিশন
নর্মাল রেপ ঠিকই আছে: দত্তপুকুর ধর্ষণ কাণ্ডে সিপিএম নেতার মন্তব্য ঘিরে ঝড়