Home » কামারহাটিতে ডামাডোল,বোঝা দায় কে চূড়ান্ত প্রার্থী!

কামারহাটিতে ডামাডোল,বোঝা দায় কে চূড়ান্ত প্রার্থী!

সময় কলকাতা ডেস্ক :

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার আগে পুরসভার প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে যতই কড়া বার্তা দিন,কামারহাটি পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে ডামাডোল কমছে না। প্রার্থী তালিকা নিয়ে দফায় দফায় ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। রয়ে গেছে বিভ্রান্তি।কামারহাটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার নিয়েছে। কে যে প্রার্থী আর কে যে নন – গৌরী মান্না আর মায়া দাসের টানাপোড়েনে ভুলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে পুরবাসীর।

তৃণমূলের প্রথম  ভাইরাল হওয়া প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল গৌরী মান্নার। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীর সই করা দ্বিতীয় তালিকাতেও নাম ছিল গৌরী মান্নার । অতঃপর আরও একটি তালিকা প্রকাশ হয়েছে বলে তৃণমূলের একাংশ দাবী করছেন যেখানে নাম রয়েছে মায়া দাসের।আর এনিয়ে উত্তাল ৯ নম্বর ওয়ার্ড।

কামারহাটি পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে সম্প্রতি মদন মিত্র নাম না করে সৌগত রায়কে আক্রমণ করেছিলেন।দুই নেতার দ্বন্দ্ব কাটতে না কাটতেই শোরগোল আর অশান্তি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ।কামারহাটি পুরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের কালিনাথ ঘোষাল রোড এলাকায় সেবা সমিতি ক্লাবের সামনে গৌরী মান্নার সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায় মঙ্গলবার রাতে । তাদের অভিযোগ প্রার্থী গৌরী মান্নাকে না জানিয়ে দলীয় সিম্বল মায়া দাস-কে দেওয়া হয়েছে ।  যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং দলনেতা ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে পার্থ চ্যাটার্জি এবং সুব্রত বক্সীর সই করা তালিকাই চূড়ান্ত,তার পরেও কী করে মায়া দাসের নাম প্রকাশ পায়, প্রশ্ন তাঁদের।গৌরী মান্না বলছেন, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক তাঁর নামকে চূড়ান্ত বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন।অন্যদিকে,মায়া দাস অবশ্য বলছেন দল তাঁকেই চূড়ান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

কে প্রাথমিক আর কে চূড়ান্ত বোঝা দায় কামারহাটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার চলতে থাকা বিক্ষোভে।মদন মিত্রের পুত্র সোম মিত্র এসেও সামাল দিতে পারেন নি ক্ষোভ।প্রার্থী নিয়ে ডামাডোল চরমে কামারহাটি পুরসভা এলাকায়।।

 

About Post Author