Home » দেবী সরস্ব সরস্বতীকে সাক্ষী রেখে জবালার সংসার গড়ার স্বপ্ন পূরন

দেবী সরস্ব সরস্বতীকে সাক্ষী রেখে জবালার সংসার গড়ার স্বপ্ন পূরন

সময় কলকাতা ডেস্কঃ বিদ্যার দেবী সরস্বতীর সামনে  ব্রাহ্মণের মন্ত্র পাঠের মধ্যে দিয়ে দুটি জীবনের সংসার গড়ার হাতে খড়ি হল। সাক্ষী থাকল পথচলতি মানুষ আর কয়েকজন বেপরোয়া যুবক।  অবুঝ দুটি মনকে এক করে দিলেন নিহারীকা সংস্থার সদস্য গণ। মহিষাদল বাজারের খিরিশ তলার নিষিদ্ধ পল্লীর এক যৌনকর্মী বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলা গ্রামে। বাবা মায়ের মৃত্যুর পর বন্ধুদের পাকে চক্রে সে এই নিষিদ্ধ পল্লীতে এসে পৌঁছে যায়। কিন্তু সে চার দেওয়ালের ভিতরে অন্ধকার জগতে আর থাকতে চায় না। সে সংসার করে মা হতে চায়।  মা ডাক শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে তাঁর মন।   মহিষাদল থানার বাসুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোট্টু দাস (২৬ )বাবার নাম সনাতন দাস। ছোটু জীবিকা হিসাবে হোটেল ব্যবসায়ী। ছোট্টুর বড়দাদা বিহারের একটি ইউনিভারসিটির ইংরেজির লেকচারার । মহিষাদল বাজারের বিভিন্ন জায়গায় হোম ডেলিভারি হিসেবে সকাল -সন্ধ্যা অর্ডার অনুযায়ী খাবার পৌঁছে দেয়। সেও ওই পল্লীতে সকাল-সন্ধ্যা খাবার পৌঁছে দিত। সেই সূত্রে ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে তার ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভালবাসা থেকে   সংসার পাতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। পরস্পর পরস্পরকে সংসার করার প্রস্তাব দেয় । দুজনেই রাজী হয়ে যায় সংসার করার জন্য। ঠিক সেই সময় মহিষাদলের একটি সমাজ সেবী সংস্থা নিহারীকা সংস্থার সম্পাদক মানস কুমার বেরা এবং সভাপতি জীবন দে কে তাদের ভালোবাসার কথা জানায় ছোট্টু । ঠিক তারপরই দুপুরে ছোটুর বাবা সনাতন দাস এবং তার দিদি -জামাইবাবু ক্লাব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়।তাদের উপস্থিতিতে সংস্থার সমস্ত সদস্য বৃন্দ ব্রাহ্মণ এবং বিবাহ রেজিস্ট্রারকে  ডেকে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর সামনে বিবাহ বন্ধন এর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংস্থার সদস্যরা হোম থিয়েটার থেকে সানাই বাজিয়ে  আতশ বাজি ফাটিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানে মাতে। আতশবাজির আওয়াজে পথচলতি মানুষদের ভিড় জমে যায় ক্লাব প্রাঙ্গণে। মহিষাদল পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের এক প্রবীণ ব্যক্তি পঙ্কজ চ্যাটার্জী জানান এই সংস্থাটি আজকে একটি মহৎ কাজ করে সমাজে দৃষ্টান্ত করল। সংস্থার অন্যতম সদস্য শম্ভুনাথ দাস মা – বাপ হারা যৌনকর্মীকে নিজের বোন হিসেবে নতুন শাড়ি দিয়ে সম্প্রদান করেন।ভালোবাসার টানে চার হাত এক হল, স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত হল।

 

About Post Author