Home » “একটি গাছ একটি প্রাণ” এই ব্রতকে পাথেয় করে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই সবুজায়নের প্রচার বাবলির

“একটি গাছ একটি প্রাণ” এই ব্রতকে পাথেয় করে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই সবুজায়নের প্রচার বাবলির

সময় কলকাতা ডেস্কঃবিয়ের অনুষ্ঠান থেকেই সবুজায়নের প্রচার।এমন অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিন দিনাজপুর জেলার জোড়াদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামের মানুষেরা।বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত অতিথিদের ভুরিভোজের পাশাপাশি দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র ও গাছের চারা বিতরন করল স্বয়ং পাত্রী।

বাবুল আলী খান ও জস্মিনা খানের একমাত্র কন্যা বাবলি সুলতানা খানের বিয়ের আয়োজন হয় সামাজিক রীতি মেনেই।করোনা আবহের কারনে প্রশাসনিক নির্দেশিকা মেনেই ছোটো করে আয়োজন করা হয়।জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের বদলে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পরিবেশ সচেনতার কথা মাথায় রেখেই এই বিরাট মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে পাত্রী।

জোড়াদিঘী,গোপালপুর,কালিকামোড় সহ আশেপাশের গ্রামের প্রায় ৩০ জন অসহায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের বস্ত্র বিতরণ এবং প্রত্যেকের হাতে একটি করে বৃক্ষের চারা তুলে দেন নববধূ বাবলি সুলতানা।গায়ে হলুদ পর্ব সেরেই এই মহৎ কাজ শুরু করে সে।বৃক্ষচারা বিতরণের প্রসঙ্গে নববধূ জানান, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সাধারন মানুষ বুঝতে পেরেছে অক্সিজেনের গুরুত্ব কতখানি।তাই সেই গুরত্বের কথা মাথায় রেখেই “একটি গাছ একটি প্রাণ” এই ব্রতকে পাথেয় করে প্রত্যেকের হাতে বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বৃক্ষের চারা তুলে দিলাম’।

মেয়ের কাজে খুশি হয়ে পিতা বাবুল আলী খান বলেন ‘খুব দুঃস্থ পরিবার থেকে বড়ো হয়েছি,গরিবের কষ্ট আমি বুঝি।তাই নিজের মেয়ের বিয়েতে পয়সা বাঁচিয়ে এলাকার ভবঘুরে মানুষদের একটু সাহায্য করার উদ্যোগ নিলাম’।সারা বছরই নানান ভাবে গরিব মানুষদের তিনি সাহায্য করেন বলে জানা যায়।

বাবলির এই উদ্যোগে গ্রামবাসীরা খুব খুশি।স্বার্থের দুনিয়ায় পয়সা বাঁচিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পরিবেশ সচেনতার বার্তা নিয়ে চারাদানের মতো উদ্যোগ বিগত কয়েক বছরে দেখা যায়নি বলে তারা মনে করেন।নববধূর বিবাহিত জীবন যেন সুখের হয় এই কামনা জানিয়েছেন গোপালপুর সহ সমগ্র দক্ষিন দিনাজপুরের সকল স্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।

About Post Author