সময় কলকাতা ডেস্ক, ২০ মেঃ টানা চার বার জিতে রেকর্ড গড়তে মরিয়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে পিছিয়ে নেই দুই তরুণ প্রার্থীও। শ্রীরামপুর লোকসভায় শেষ হাসি হাসবেন কে?
ভোটপঞ্চমীতে রাজ্যের একাধিক হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে ছিল ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে অন্যতম হুগলি জেলার শ্রীরামপুর । এই কেন্দ্রে টানা তিনবার জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি নির্বাচনে পুরাতন সৈনিকের উপর ভরসা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী করেছেন কবির শঙ্কর বসুকে। যিনি আবার তৃণমূল প্রার্থীর প্রাক্তন জামাই। সিপিএমের টিকিটে এই আসন থেকে লড়ছেন তরুণ প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। সোমবার সকাল থেকেই নির্বাচনী কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন বুথে পরিদর্শনে যান তৃণমূল প্রার্থী। শ্রীরামপুরের চাকুন্ডি হাই স্কুলে তাকে বুথে ঢুকতে বাঁধা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। তা দেখে হিন্দিতে তৃণমূল প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, তিনি প্রার্থী। অবশেষে নিজের কার্ড দেখিয়ে বুথের ভিতরে প্রবেশ করতে হয় বিদায়ী সাংসদকে। পাশাপাশি এই কেন্দ্রে এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ঘরে ঢুকে মহিলার সম্মানহানির অভিযোগ ওঠে আইটিবিপি জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জওয়ানকে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয়রা। শেষে অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্পূর্ণ বিষয়টিকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ। ভোটের আগে থেকেই এই কেন্দ্রে কথার লড়াই চলছিল বিদায়ী সাংসদ ও সিপিএমের তরুণ প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের মধ্যে। সিপিএম প্রার্থী কল্যাণকে মিস্টার ইন্ডিয়া বলে কটাক্ষ করেন। পাল্টা দিতে ছাড়েননি কল্যাণও। বাম নেত্রীকে ‘মিস ইউনিভার্স’ ও ‘সোফিয়া লরেন’ বলে ব্যঙ্গ করেন। নির্বাচনের আগে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের বাকযুদ্ধ নির্বাচনী লড়াইয়ে অন্যমাত্রা যোগ করে। গতবার তিন নম্বরে থাকলেও এ বার নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দীপ্সিতাও।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Elections 2024: বেলা ১টা পর্যন্ত বাংলার সাত কেন্দ্রে ভোট পড়ল প্রায় ৪৯ শতাংশ, এগিয়ে আরামবাগ
সোমবার ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্রীরামপুর। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডোমজুড়ের দেবী পাড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের কর্মী-সমর্থকদেরই তাড়া করে। পরে দু-দলের কয়েকজন কর্মীকে আটকও করে পুলিশ। সব মিলিয়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনার মধ্যে শ্রীরামপুরে ভোটপর্ব মিটল। এই কেন্দ্রে টানা চতুর্থ বার জয়ের রেকর্ড করতে পারবেন তৃণমূলের অভিজ্ঞ প্রার্থী? নাকি শ্রীরামপুরে বাজিমাৎ করবে বিজেপি? নাকি এই কেন্দ্রে দুই দলকে হারিয়ে সংসদে পৌঁছবেন দীপ্সিতা ধর? উত্তর মিলবে ৪ জুন।
More Stories
ভোটাভুটি আটকানো গেল না, জেলা সম্পাদকই হারলেন জেলা কমিটির ভোটাভুটিতে
ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ কে ঘিরে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির
বাংলাতেও ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ঢোকানোর ছক বিজেপির!: মমতা