Home » স্পেন নাকি ইংল্যান্ড ? কে জিতবে ইউরো?

স্পেন নাকি ইংল্যান্ড ? কে জিতবে ইউরো?

সময় কলকাতা ডেস্ক, ১১জুলাই :স্পেন একদিন আগেই ইউরো ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। এবার নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। ফাইনালে প্রশ্ন,স্পেন নাকি ইংল্যান্ড, জিতবে কে? আগ্রহের অবসান হতে আরও চারদিন বাকি।

স্পেন কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি, তারপরে সেমিফাইনালে  ফ্রান্সকে বধ করে ফাইনালে পৌঁছেছে। তাদের পরবর্তী দল হিসেবে ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্পেনের মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড।

স্পেন বনাম ফ্রান্স ম্যাচের মত না হলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও ছিল তুল্যমূল্য লড়াই।  ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের প্রথমার্ধের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। ডর্টমুন্ডে নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার মুহূর্তে গোল করে ইংল্যান্ড। সুপার সাব হিসেবে ওলি ওয়াটকিন্স বাজিমাত করেন ইংল্যান্ডের হয়ে। তারপরে আর মাত্র সংযোজিত সময় হিসেবে দু মিনিট সময় পায় নেদারল্যান্ড। শেষ সময়ে আর গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি নেদারল্যান্ড। এদিন খেলার সাত মিনিটে জাভি সিমন্স গোল করে নেদারল্যান্ডকে এগিয়ে দিলেও হ্যারি কেন ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান। যদিও রেফারির সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। তবে এদিন খেলায় আধিপত্য ছিল ইংল্যান্ডের। নেদারল্যান্ড মূলত কাউন্টার ভিত্তিক  আক্রমণ করে ইংল্যান্ডের গোলদুর্গে হানা দেয়।

এদিন কেন, সিমন্স বা ওয়াটকিন্স গোল করলেও ম্যাচের নায়ক ও প্রধান চরিত্র দুদলের অন্য দুজন খেলোয়াড়।একজন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। ইংল্যান্ডের হয়ে শুরু থেকেই মাঝমাঠের চব্বিশ বছর বয়সী ফিল ফোডেন ফুল ফোটাতে শুরু করেন। আর একজন অবশ্যই ডেঞ্জেল ডামফ্রাইস। ইন্টার মিলনের ডিফেন্সের প্লেয়ার এই ম্যাচের অন্যতম চরিত্র। তিনি নায়ক হতে পারতেন, তার জন্যই ইংল্যান্ড পেনাল্টি পাওয়ায় আংশিকভাবে খলনায়ক তিনি আবার অন্যদিক থেকে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন ইউরো সেমির লড়াইয়ে। অবধারিত গোললাইন সেভ করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে যেতে দেন নি। ডাচ ডিফেন্সে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছেন তিনি। আবার, সেট পিসে হেড করে গোল করে ফেলেছিলেন ডামফ্রাইস। পেনাল্টি হওয়ার ক্ষেত্রে কার্যত কিছুই করার ছিল না তাঁর। ১৮ মিনিটে কেন কে ব্লক করতে যান তিনি। কেনের শট বার উঁচিয়ে চলে যাওয়ার সময় তার পায়ে লেগে পড়ে যান কেন। এক্ষেত্রে রেফারি পেনাল্টি দিতে পারতেন, নাও দিতে পারতেন। ভার প্রযুক্তির সাহায্যে তিনি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত দেন। এই গোলের ১১ মিনিট আগেই, খেলার ৭ মিনিটে, সিমন্স ইংল্যান্ডের ভুলেই বল নিয়ন্ত্রণে এনে অসামান্য একটি গোল করে যান। খেলায় আর একটি অসামান্য গোল হতে পারত। ফিল ফোডেনের বাঁক খাওয়ানো শট সবাইকে হতচকিত করে ক্রসপিসে লেগে বেরিয়ে যায়। খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়াতে পারে মনে হচ্ছিল তার সামান্য আগেই সাউথ গেট সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে হ্যারিকেনকে তুলে নেন। আর বদলি হিসেবে নামা অ্যাস্টন ভিলার ফরওয়ার্ড ওয়াটকিন্স বাজিমাত করে যান। এবার অপেক্ষা ভারতীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে বারোটায় মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও স্পেন। স্পেন নাকি ইংল্যান্ড, বাজিমাত করবে কে?

শিল্প, গতি এবং তারুণ্যের সংমিশ্রণে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য কিছুটা এগিয়ে রাখছেন স্পেনকেই। চতুর্থবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দোরগোড়ায় তারা। তবে পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ডও। তবে ২০২০ সালের ইউরোতে পেনাল্টি শুট আউটে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইংল্যান্ডের। এবার তারা কাপ জয়ের স্বাদ পেতে চাইবেই। এখন দেখার কি হয়। কাপে বিজয় চুম্বন কে দিতে পারে?

About Post Author