Home » যৌন পুতুলের পতিতালয়কে পেছনে ফেলে যৌনশিল্পে জোয়ার আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?

যৌন পুতুলের পতিতালয়কে পেছনে ফেলে যৌনশিল্পে জোয়ার আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?

সময় কলকাতা ডেস্ক, ২৮ জুলাই : বিগত দশকে বললেও একটু বাড়িয়ে বলা হবে আট বছর আগে শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হত। অথচ বাস্তবে কয়েক বছর আগেই  সেক্স ডল পতিতালয় বা পুতুলের মাধ্যমে যৌনকর্মের মহল চালু হয়েছে । ছ বছর আগে, ২০১৮ সালে প্রকাশ পায়,উত্তর আমেরিকার টরন্টোতে অরা ডলস-এ(Aura Dolls)  ছ’টি মনুষ্য-নির্মিত সিলিকন সেক্স ডল যৌন পরিষেবা ‘প্রদান করবে’। বলা হয়েছিল , মানুষের বিকল্প হিসেবে পুতুলগুলিকে রীতিমত খরচখরচা ও ভাবনাচিন্তা করে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এই ধ্যান ধারণা ততদিনে পুরনো হয়ে গিয়েছে। তবে অভিনব যৌন সংজ্ঞা নিয়ে হাজির হয়েছে  আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI ) বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। অতিমারি পরবর্তী সময়ে যৌনশিল্পে মন্দার বাজার চাঙ্গা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আশা করছে নতুন যৌনতার সংজ্ঞা আমদানি করা সংস্থা।

অরা ডলস দিয়ে সেক্স ডল পতিতালয় সম্পর্কিত ইতিহাসের প্রতিবেদন শুরু করলেও  অরা ডলস (Aura Dolls) মোটেই প্রথম যৌন পুতুল পতিতালয় নয়। বার্সেলোনা, মস্কো এবং ইতালির তুরিনে এরকম পুতুল পতিতালয় রয়েছে।বার্সেলোনার একটি আবাসন ইউরোপের প্রথম সেক্স ডল পতিতালয় এবং বাস্তব জীবনের যৌনকর্মী উভয় ধরনের যৌনকর্মী সমৃদ্ধ। জীবন্ত ও যান্ত্রিক দুই-ই মিলবে পকেটের জোর থাকলেই । শহরের অর্থপ্রদানকারী জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয় নতুন গাণিতিক নিয়মে।

এই ধরনের সেক্স ডল পতিতালয়গুলিকে  “সেক্স রোবট পতিতালয়” হিসাবেও কোথাও কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও এদের  সে ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নেই। অন্তত অরা ডলসের জন্মলগ্ন  পর্যন্ত আসেনি। অরা ডলস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে, এরকম হইচই পড়ে নি।  তবে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ না হলে, অন্তত খরচ করার হাত না থাকলে, এরকম যৌন পতিতালয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। যান্ত্রিক সঙ্গিনী পাওয়ার টাকার অঙ্ক বেজায় ভারী।

অরা ডলস (Aura Dolls)  জানিয়েছিল যে, তাদের লক্ষ্য হল “অনেক বিধিনিষেধ এবং সীমাবদ্ধতা ছাড়াই যৌন বাসনা চরিতার্থ করা যা একজন প্রকৃত সঙ্গী দিতে পারে”। এই কথার ব্যাখ্যা এরকমই যে, একজন নারী যে যৌন সুখ দিতে পারে প্রায় তাই একটি যান্ত্রিক পুতুল দিতে পারে। ছয়টি কৃত্রিম পুতুলের একটিকে বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে । বিবরণ হিসেবে বলা হয়েছে, “প্রত্যেকের পছন্দের সৌন্দর্য পূরণ করার জন্য বহিরাগত মেয়েরা”।

আশ্চর্য এই ভাবনাচিন্তার জনক যে সংস্থা তাদের তরফে কি বলা হচ্ছে ?অরা ডলস-এর মুখপাত্র ক্লেয়ার লি জানিয়েছিলেন : “আমরা সৌন্দর্যের প্রতিটি মান পূরণ করার জন্য সত্যিই কঠোর চেষ্টা করেছি, আমাদের আলাদা জাতি, বিভিন্ন চোখের রঙ, বিভিন্ন চুলের রঙ রয়েছে।”

তবে পরবর্তীতে ব্যবসায়িক স্বার্থে ও  গোপনীয়তার স্বার্থে অনেক পন্থা নেওয়া হয়। কারণ সংস্থাটি প্রথমে যে সময় চালু হওয়ার কথা ছিল তার সাত দিন আগেই বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার নতুন করে সেটি চালু হয়।বিতর্কিত “সেক্স ডল পতিতালয়” যেটি একবার টরন্টোতে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল তা মিসিসাগায় চালু হয়ে যায়

অরা ডলস (Aura Dolls) যেটি নতুন মালিকানার অধীনে গ্রাহকদের সতর্কতার সঙ্গে  জানায়,”একটি মেয়ের সাথে বাস্তবসম্মত যৌন সুখ ও অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যেটি শুধুমাত্র আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে।”মেয়েদের ” সিলিকনের সর্বোচ্চ মানের” দিয়ে তৈরি করা হয়।

সংস্থার পক্ষে দাবি করা হয়েছিল,”গ্রাহকরা পুতুলের সাথে সম্পূর্ণ মিলন করতে পারে।” সংস্থাটি আরও জানিয়েছিল,”এরকম বহু লোক আছে যারা অন্তর্মুখী বা সামাজিকভাবে বিশ্রী যারা মানুষের মিথস্ক্রিয়া পছন্দ করেন না।”অরা ডলস Aura Dolls এর মালিকরা বেনামে কাজ করে এবং তাদের গ্রাহক বা খদ্দেরদের একই গোপনীয়তা রাখার অনুমতি দেয়।

কোম্পানি তাদের সঠিক ঠিকানা সর্বজনীনভাবে প্রকাশ করে না, তবে মিসিসাগা এর একটি শিল্প এলাকায় অবস্থিত যেখানে সরাসরি এলাকায় কোন বাড়ি বা স্কুল নেই। গ্রাহকরা শুধুমাত্র একবার আর্থিক বিষয়ে চুক্তি করলেই  লোকেশন পাবেন৷

এত দূর অব্দি ছিল সাধারণ পুতুল পতিতালয়ের কাহিনী, কিন্তু প্রযুক্তির যুগে পুতুল পতিতালয়কে  পিছনে ফেলে  চলে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন যৌনতার ধ্যান ধারণা। বলা হচ্ছে যৌনতার ক্ষেত্রে শুরু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জমানা। ২০২৪ সালে জার্মানির বার্লিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যৌনতার ক্ষেত্রে বিপ্লবের এনেছে । যে যৌন পুতুল একই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তারা যৌনতার নতুন সংজ্ঞা দিতে শুরু করেছে। সাইব্রথেল  এমন একটি সংস্থা যাদের কর্মপদ্ধতি ঐতিহ্যবাহী যৌনকর্মীসম্পন্ন সংস্থার মত। এই সংস্থার পক্ষে  অংশীদার ম্যাথিয়াস স্মেটানা জানিয়েছেন, পরশু এবং যৌনকর্মের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত যৌন পুতুল গুলি সাড়া দেবে। যৌন শিল্পের মরা বাজারে জোয়ার আনবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মনে করছে  সাইব্রথেল।।

About Post Author