Home » লক্ষ্য স্পেস ডকিং, মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর PSLV-C60, চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে জায়গা করে নিল ভারত

লক্ষ্য স্পেস ডকিং, মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর PSLV-C60, চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে জায়গা করে নিল ভারত

সময় কলকাতা ডেস্ক, ৩১ ডিসেম্বরঃ মহাকাশ বিজ্ঞানে আরও এক সাফল্যের মুকুট ভারতের মাথায় মহাশূন্যে আরও এক লম্বা লাফ দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে গত রাতে ১০ টা নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হল PSLV-C60 রকেট। এই লঞ্চিংকে ‘স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট’ বলা হচ্ছে। এই অভিযানে ইসরোর সাফল্য পরবর্তীতে মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণ ও চন্দ্রযান ৪-এর সাফল্যের লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনঃ Mamata Banerjee : বছরের শুরুতেই নবান্নে বড় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী!মনে করা হচ্ছে ২৬-এর নির্বাচনের প্রস্তুতি

এই মিশনের প্রধান জয়কুমার জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এই ‘মহাকাশ ডকিং’ পরীক্ষা। চেজার এবং টার্গেট, দু’টি মহাকাশযানই সমান গতিবেগে একই দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার পরে একই বিন্দুতে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় একই সঙ্গে পৌঁছে এক হবে।

আরও পড়ুনঃ বছরের শেষ রাতে ‘ওয়ান ওয়ে’ কলকাতার বহু রাস্তা! তিলোত্তমাকে যানজটমুক্ত রাখতে একাধিক এলাকায় নো পার্কিং

এই অভিযান প্রসঙ্গে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, এতে ৫টি মডিউল রয়েছে যা মহাকাশের একটি নির্দিষ্ট কক্ষে আলাদা আলাদা সময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। এবং পরে সেগুলিকে ডক করা হবে। পৃথিবীর পাশাপাশি চাঁদের কক্ষপথেও এই ডকিং প্রক্রিয়া চলবে। চন্দ্রযান ৪-এর অভিযানের লক্ষ্যে এই মিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ওই অভিযানে আমরা চাঁদের মাটিতে নামব এবং সেখান থেকে আবার ফিরে আসব পৃথিবীতে। এই অভিযানে বহু ছোট ছোট পদক্ষেপ রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডকিং।

জানা গিয়েছে, পিএসএলভি-সি৬০-র প্রধান পেলোড হিসাবে রয়েছে দু’টি মহাকাশযান। যার প্রথমটি হল স্পেডেক্স ১ চেজার ও দ্বিতীয়টি স্পেডেক্স ২ টার্গেট। এছাড়া রয়েছে ২৪টি পোলাড। মহাশূন্যে এই দুই যানকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ছেড়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে চেজারের মাধ্যমে টার্গেটকে ধরা হবে, অর্থাৎ ডকিং করবে। স্যাটেলাইটে রয়েছে একটি রোবোটিক বাহু যা হুকের মাধ্যমে লক্ষ্যকে নিজের দিকে টেনে নেবে। এই মিশনের সাফল্যের উপর নিরভর করছে ইসরোর পরবর্তী বহু অভিযানের ভবিষ্যৎ। পাশাপাশি এই অভিযানের সাফল্যে বিশ্বের মহাকাশ ক্লাবে চতুর্থ দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে ভারত।

About Post Author